#CoronavirusUpdate এবার থেকে কোয়ারেন্টাইনের সেলফি দিতে হবে সরকারকে

নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকলে, তার প্রমাণ দিতে হবে প্রতি ঘণ্টায়, সেলফি তুলে । একটি নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠাতে হবে সরকারের কাছে ।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক- মারণ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে দেশব্যাপী লকডাউন এবং সেলফ কোয়ারেন্টাইন একমাত্র ভরসা । 

তবে সে সবের তোয়াক্কা আদৌ করছে কি আম জনতা ?

তা জানতে নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকলে, তার প্রমাণ দিতে হবে প্রতি ঘণ্টায়, সেলফি তুলে। 

একটি নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠাতে হবে সরকারের কাছে ।

নির্দেশ অমান্য করলেই বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে থাকতে হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে। 

সোমবার রাজ্যবাসীদের জন্য এমন অভিনব এবং কড়া নির্দেশিকা জারি করল  কর্নাটক ।

কোয়ারেন্টাইনের সেলফি সরকারকে, কেন এমন নির্দেশিকা?

প্রশাসন সূত্রের খবর,  নোভেল করোনা ভাইরাসকে রুখতে বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করছেন অনেকেই ।

[ আরও পড়ুন : লকডাউন না মানলে প্রয়োজনে জারি কার্ফু, রাজ্যকে নির্দেশ কেন্দ্রের ]

এমনকি, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরাও বাধ্যতামূলক ভাবে নিজের বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশও মানছেন না।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সচেতন করা সত্ত্বেও কানে তুলছেন না অনেকে । 

দিন কয়েক আগেই বেঙ্গালুরুর ১০ ব্যক্তি নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পালিয়ে যান। 

তল্লাশি চালিয়ে শহর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ । বেঙ্গালুরুর পুর কমিশনার বি এইচ অনিল কুমার  জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। 

চলতি মাসে ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটে ম্যাঙ্গালুরুতে । সেখানকার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান এক করোনা-সন্দেহভাজন ।

বার বার একই ধরনের ঘটনা ঘটায় বাধ্য হয়েই সেলফি তোলার নির্দেশ জারি করেছে কর্ণাটক প্রশাসন ।

কোয়ারেন্টাইনের সেলফি সরকারকে, আর কি কি বিধিনিষেধ রয়েছে ?

সেলফি সংক্রান্ত নির্দেশে প্রশাসন জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সেলফি তোলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে । 

অর্থাৎ, ওই সময়ের বাইরে প্রতি ঘণ্টায় সেলফি তুলে পাঠাতে হবে সরকারের কাছে ।

সেলফি ব্যবস্থার নজরদারিতে থাকবেন কোয়রান্টিনে এনফোর্সমেন্ট স্কোয়াডের আধিকারিকেরা।

[ আরও পড়ুন : #CoronaUpdateবাড়ানো হচ্ছে না লকডাউন,জানালো কেন্দ্র ]

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কর্নাটকে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ । 

ইতিমধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের । মারণ ভাইরাস রুখতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে কর্নাটক । 

তার মধ্যে একটি হল, নিজের বাড়িতেই ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে থাকা । প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ তেমন ভাবে নজরদারিতে ছিলেন । 

এদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ১৪ দিনের কোয়রান্টিনের মেয়াদ শেষ করেছেন। 

তাঁদের মধ্যে ১৪২ জনকে সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

সম্পর্কিত পোস্ট