সোভিয়েতকে ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য! কাজাখাস্তানে সেনা পাঠিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন পুতিন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে এই মুহূর্তে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে জোর টানাপোড়েন শুরু চলছে। প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রটির সীমানা বরাবর বিপুল সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে তারা। ইউক্রেনের আশঙ্কা যেকোনও মুহূর্তে মস্কো তাদের দেশে হামলা চালাতে পারে।
স্বাভাবিকভাবেই ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতিমধ্যেই তিনি ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে আরেক প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। যার জেরে সেখানে সরাসরি সেনা পাঠিয়ে দিয়েছে রাশিয়া!
গত কয়েকদিন ধরেই প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র কাজাখাস্তানের অবস্থা ভয়াবহ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই দেশে অশান্তি চরমে উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা একের পর এক থানায় হামলা চালাচ্ছে।
পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দফতরে ভাঙচুর চালাচ্ছে তারা। দেশের প্রধান বিমানবন্দর কব্জা করে নেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ভবনে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামিয়েছেন কাজাখ রাষ্ট্রপতি কাসিম জোমার্ত তোকায়েভ।
কিন্তু তাতেও দেশের অশান্তি থামানো যাচ্ছে না। একের পর এক পুলিশ ও সেনা সদস্যের মৃত্যু হচ্ছে। অবশ্য সরকারি বাহিনীর গুলিতেও অসংখ্য বিক্ষোভকারী মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সরকারকে বরখাস্ত করার পর বন্ধু রাশিয়ার সামরিক সাহায্য চান কাজাখ রাষ্ট্রপতি।
কাজাখাস্তানের অনুরোধ শুনে পুতিন সঙ্গে সঙ্গে ২,৫০০ রাশিয়ান প্যারাট্রুপ বাহিনীর সদস্যকে সে দেশে পাঠিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বেশকিছু বিমান বোঝাই অস্ত্র পাঠানো হয়েছে সেনাবাহিনীর জন্য। বেদখল হয়ে যাওয়া বিমানবন্দরের দখল ইতিমধ্যেই নিজেদের হাতে নিয়েছে রাশিয়ান সেনা।
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন কাজাখ রাষ্ট্রপতি।
তবে কাজাখাস্তানের অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোল থামাতে যেভাবে রাশিয়া সেনা পাঠিয়েছে তাতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আমেরিকা ও ইউক্রেন রাশিয়ার এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।
কাজাখাস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বহিস্কৃত নেতা মুখতার আবলিয়াজোভের দাবি পুতিন আসলে ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নকে আবার জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন। তাই কাজাখাস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় সেনা পাঠিয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে সংশয়ের অন্যতম পাত্র হয়ে উঠেছে রাশিয়া।