কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা পাশ করল কেরল সরকার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্র সরকারের তরফে পাশ হওয়া তিন কৃষি আইনের বিরোধী প্রস্তাবনা পাশ করেছে পাঞ্জাব সরকার। এবার সেই পথে হাঁটল কেরালা। বৃহস্পতিবার কেরালার বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাশ হল এই প্রস্তাবনা। এদিন প্রস্তাবনা পাশে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিরোধী পক্ষ কংগ্রেসও।
এদিন প্রস্তাবনা পাশের পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, নতুন আইন এনে কেন্দ্র সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে খাদ্যশস্য কিনবে। গরীব এবং অভাবী মানুষরা খুব কম দাম পাবেন, তার পরিবর্তে সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। এমনকি ফসলের নুন্যতম সহায়ক মূল্য থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করা হবে।
গত একমাসের বেশী সময় ধরে দিল্লির সীমান্তে তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় থেকেছেন কৃষকরা। পাল্টা আইন প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে নারাজ কেন্দ্র। যত সময় এগোচ্ছে ততই আন্দোলন আরও বড়ো হতে শুরু করেছে। এবিষয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন চলতে থাকলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে ।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভিক্ষের দিকে অগ্রসর হবে গোটা দেশ। সমস্ত বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে কেন্দ্রকে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চাশ শতাংশ সমাধান, ফের ৪ জানুয়ারি বৈঠকে কৃষক এবং কেন্দ্র
কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দাবী, নতুন কৃষি আইনের ফলে কৃষকরা সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা। তাঁরা মনে করছেন পরবর্তীকালে কর্পোরেট শক্তির কাছে দর কষাকষির ক্ষেত্রে দাম পেতে পারবেন না কৃষকরা।
কেন্দ্র সরকারের তরফে বলা হচ্ছে এপিএমসি সিস্টেমের মাধ্যমে কৃষকরা দ্বিগুণ লাভ পাবেন। তা এখনও কেরলে চালু হয়নি। বরং বিকল্প প্রক্রিয়া এখনও চালু রয়েছে কেরলে। কেরল বিধানসভায় বিজেপির একমাত্র সদস্য ও রাজাগোপাল জানিয়েছেন, এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সমস্ত কিছুর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দোষারোপ করছেন।
যদিও অধিবেশন ডাকা নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছায়। ২৩ ডিসেম্বর একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকার অনুমতি চাইলে তা খারিজ করেন দেন রাজ্যপাল মহম্মদ আরিফ খান। রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, কি কারণে অধিবেশন চাইছে সরকার? তার সাপেক্ষে যুক্তি দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্যসরকারের তরফে জানানো হয় মন্ত্রী পরিষদের সুপারিশ মানতে বাধ্য রাজ্যপাল। দীর্ঘ সময়ের সংঘাতের পর জরুরী অধিবেশনের জন্য ছাড়পত্র দেন রাজ্যপাল।
যদিও জটিলতা এখনও দুর হয়নি। বিধানসভায় প্রস্তাব পাশের পর তা রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রপতির সই প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্রপতির সিলমোহরের পরেই সেই প্রস্তাবনা কার্যকর হয়।