বিরোধিতা সত্বেও দুই মেরুতে মমতা-বিজয়ন
শুভজিৎ চক্রবর্তী
কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করে করে সাধারণ মানুষকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই কথা এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আকছার শোনা যায়। শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন সবার মুখে একই শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমনকি রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ইস্তফা দেওয়ার সময় দীনেশ ত্রিবেদীও কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাতের কথা উল্লেখ করেন।
কিন্তু রবিবার কেরলে সেই ছবি একেবারে আলাদা। রবিবার কেরলে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ প্রয়াসে একাধিক প্রকল্প গড়ে উঠল সেই কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের ভাষণে।
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই হলদিয়ার একটি সরকারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রণ জানানোর পরেও উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠায় সেদিনের বক্তব্য এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর তরফে কোনও বক্তব্য না মেলায় ক্ষুব্ধ হন তিনি৷ তাই হলদিয়ার সরকারী মঞ্চে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
কিন্তু মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ব্যবধান বেড়ে গেল। রবিবার তিরুবন্তপুরমের একাধিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এদিন ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল যেমন সরকারের বিরোধিতা করে গেছে, পরোক্ষভাবে সমর্থনও করে গেছে। কিন্তু শুরু থেকে একাধিক বিষয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ের কড়া বিরোধিতা করে এসেছে বাম নেতৃত্ব৷
নবান্ন অভিযানে জখম বাম নেতার মৃত্যু, বৃহত্তর প্রতিবাদের হুঁশিয়ারী SFI-র
পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের একইসঙ্গে রয়েছে কেরলের নির্বাচন। সেখানেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে বামেরা। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের উপস্থিতি বামেদের আলাদা করে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরোধিতা করে রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত এবং কিশান সম্মান নিধি থেকে বঞ্চিত করার কারণে ভোট বাক্সে এর ফল তৃণমূলকে পেতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।