অশান্তির আবহে মিটল পুরভোট, ফের ভোটগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে সোমবার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা পুরভোটে শহরের নানা প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনার ছবি উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের পর্দায়। বোমাবাজির পাশাপাশি ঝরেছে রক্ত। বড় কোনও অশান্তি না ঘটলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থী এবং কর্মীদের মারধর, পোলিং এজেন্টকে হেনস্থা, বিরোধীদের বুথ ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ উঠে এসেছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ভোট শান্তিপূর্ণই হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে কোথাও আবার ভোটগ্রহণ হবে কি না তার সিদ্ধান্ত হবে সোমবার।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে নানা বেআইনি কাজের জন্য মোট ১৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫৫টি ইভিএম গোলযোগের জন্য বদলাতে হয়েছে। মোট ৪৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

তিস্তার উপর বাঁধে পুনর্ভবা নদীর জলে বাধা, মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের

অন্যদিকে, পুরভোটে অশান্তির ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভোটে জেতার জন্য কোনরকম প্রভাব খাটানো চলবে না বলে আগেই দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও যদি এধরণের ঘটনা প্রমাণিত হয় তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় স্তরে তো বটেই প্রশাসনিক ভাবেও ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিধাননগরে বিরোধী দলনেতার বাড়ি পুলিশে ঘিরে ফেলেছিল। যেন কোনও সন্ত্রাসবাদীকে আটকাতে গিয়েছে। কেন? নজিরবিহীনভাবে এমএলএ হোস্টেলের গেটে প্রশাসন তালা লাগিয়ে দিল। কেন? আইনসভার নির্বাচিত সদস্যদের এটুকু দায়িত্বজ্ঞান আছে যে তাঁরা কলকাতার ভোটার নন। তারা বেরিয়ে কাউকে প্রভাবিত করতেন না বা করেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট