রবীন্দ্র সরোবরকে পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তুলতে চায় কেএমডিএ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবীন্দ্র সরোবরকে ‘পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন ক্ষেত্র’ হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। জাতীয় লেকের মর্যাদা প্রাপ্ত রবীন্দ্র সরোবর গোটা রাজ্যের মানুষের কাছেই যথেষ্ট অগ্রোহের বস্তু।

এর আকর্ষণ আরও বাড়াতে ‘পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন ক্ষেত্র’ হিসাবে গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। কেএমডিএর তরফে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার ভাবনাও শুরু হয়েছে।

কেএমডিএর এক কর্তা বলেছেন, নিউটাউনে প্রকৃতিতীর্থের আদলে সাজানো হবে রবীন্দ্র সরোবরকে। ১৯২০ সালে কেআইটির ১৯২ একর আয়তনের এই বিশাল হ্রদ সরকার অধিগ্রহণ করে।

সেটিকেই এখন নতুন করে সাজিযে তোলা হবে। পরিবেশের উন্নয়নে সরোবরকে সাতটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে নিউটাউনের প্রকৃতি তীর্থের আকর্ষণ অনেক বেড়েছে। একইভাবে কলকাতার বুকেও এই সরবরের গুরুত্ব বারুক চায় সরকার।

সরোবরের জল সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে জলভাগকে দু’টি অংশ এবং স্থলভাগকে পাঁচটি অংশে ভাগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়াররা। ভ্রমণার্থীদের ব্যবহৃত ময়লা বা প্লাস্টিক যাতে সরোবরের জলের ভিতরে না পড়ে তার জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থাও করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/nitish-kumars-party-expelled-15-leaders/

জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায় মাথায় রেখে জীববৈচিত্র্যর সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নে সরোবরের পরিবেশ সংরক্ষণে একগুচ্ছ কর্মসূচি ও প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, পরিবেশ নিয়ে দৈনন্দিন নজরদারি এবং জনসাধারণের সরাসরি অভিযোগ গ্রহণে সরোবর চত্বরে অফিস চালু করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন কেএমডিএ।

পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে ৭৩ একরের জলাভূমিকে দুটি পৃথক জোনে ভাগ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, দুটো লেককে আলাদা দুটি জোনে ভাগ করায় পরিযায়ী পাখি ও মাছ সংরক্ষণে সুবিধা হবে।

দূষণের কারণে এখন শীতের মরশুমে আগের মতো ভিন দেশের নানা প্রজাতির পাখি আসছে না। আমফানের ধাক্কায় প্রায় তিনশো বড় গাছ ভেঙে পড়ায় পাখিদের বাসস্থানের আরও ক্ষতি হয়েছে। সুত্রের খবর, পুরমন্ত্রীর নির্দেশে ১১১টি উপড়ে পড়া বৃক্ষ পুনরায় স্থাপন করেছে কেএমডিএ।

সম্পর্কিত পোস্ট