জমা জল থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে খাল সংস্কারে জোর কলকাতা পুরসভার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বর্ষায় কলকাতাকে জল জমার হাত থেকে মুক্ত করতে খাল সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ খালগুলিকে সংস্কার করা হবে। আজ ইএম বাইপাস সংলগ্ন কেপিটি খাল ও সন্তোষপুর মনি খাল পরিদর্শন করবেন সেচ দপ্তর ও পুরসভার আধিকারিকরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যসচিব, সেচ দপ্তরের প্রধান সচিব, পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব, পুরসভার কমিশনারকে নিয়ে শহরের খালগুলির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন কলকাতার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতায় দুদিনের বৃষ্টিতে যেভাবে দীর্ঘ সময় জল দাঁড়িয়ে ছিল তার জন্য শহরের খালগুলি সবথেকে বেশি দায়ী বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। তাই শহরের চারপাশে গুরুত্বপূর্ণ আটটি খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সংস্কারের কাজ এই বছরের মধ্যে শেষ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
দিন দশেক হলো রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। অবধারিতভাবেই আঙ্গুল উঠেছে পৌরসভার দিকে সবকিছু নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করলেও তবে শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে হার মেনে গিয়েছে শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা। বিভিন্ন এলাকায় জল জমে থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয়েছে।
কলকাতার বুকে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাটুলি এবং হরিদেবপুরে টানা বৃষ্টিতে জমে রয়েছে জল। সেখানেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন দুজন ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন জলে মাছ ধরতে নেমেছিলেন পাটুলির যুবক তরুণ মন্ডল। তখনই জলে পরে যান তিনি।
সারদা মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বাঁচাতে গেলে তারাই ইলেকট্রিক শক খেয়েছেন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই হরিদেবপুরে এক বাইক চালকের গায়ে এসে পড়ে বিদ্যুতের তার। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। দুটি ঘটনাতেই চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
দিন কয়েক আগেই ঝড়ের বলি হয়েছেন ৮৬ জন। তার মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন ২২ জন। একের পর এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা সহ সিএসসির গাফিলতি। তা সত্ত্বেও হুঁশ ফিরছে না ।