লকডাউনের অবসরে বিমানবন্দরের আদলে বদলে যাচ্ছে কলকাতা স্টেশন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লকডাউন মানেই বড় অবসর রেলের জন্য। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রেল স্টেশন গুলি একের পর এক পুনর্গঠনের কাজ চলছে।
আগেই শিয়ালদা এবং হাওড়ায় পুনর্গঠনের খবর এসেছিল। এইবার সেই তালিকায় যুক্ত হল কোলকাতা স্টেশনের নামও।
পুনর্গঠনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাতে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীদের কিছুটা হলেও লাভ করা যায়।
রবিবার কলকাতা স্টেশনের অন্দরে গিয়ে দেখা গেল সেখানে কাজ চলছে জোর কদমে। তৈরি হচ্ছে নয়া লাউঞ্জ। সেখানে থাকবে ম্যাসেজ চেয়ার, স্পা, শ্যালন।
ঠিক যেমনটি বিদেশের অনেক বিমানবন্দরে থাকে। শিয়ালদহ স্টেশনের ওপর থেকে চাপ কমাতে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল শিয়ালদহের বদলে পুরোপুরি ভাবে কলকাতা স্টেশন থেকে করার পরিকল্পনা করছেন পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা। তার জেরেই এই ভোল বদল।
খাতায় কলমে কলকাতা স্টেশন এখন আন্তর্জাতিক স্টেশন। কারণ এখান থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্যে বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ে।
কংগ্রেসে মন কষাকষি, অস্তিত্ব হারাতে বসেছে ভারতের ১৩০ বছরের পুরাতন দল
এছাড়া উত্তরবঙ্গ ও উত্তর ভারত যাওয়ার একাধিক ট্রেন এখানে থেকে যাতায়াত করে। দুরপাল্লার ট্রেনের যে সমস্ত যাত্রীরা এখানে আসেন তাদের থাকার জন্য আশেপাশে ভালো কোনও হোটেল নেই। ফলে বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে তাদের বেশ অসুবিধা হয়।
এবার সেই অসুবিধা কাটতে চলেছে। স্টেশনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে লাউঞ্জ। এর নাম দেওয়া হচ্ছে ‘সফর’।
এখানে থাকছে মোট ৯টি বেড। ৭ টি রিক্লাইনার চেয়ার। যেখানে আপনার সুবিধা মতো আপনি বসতে বা শুতে পারবেন। থাকছে মহিলা ও পুরুষদের জন্যে স্নানের পৃথক পৃথক ব্যবস্থাও। থাকছে বেবি ফিডিং রুমও।
সমস্তটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া থাকছে ফিস স্পা। যেখানে একসাথে চার জন বসতে পারবেন। ঠিক তার পাশেই থাকছে শ্যালন।
দু’জন সেই শ্যালন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই সেই কাজ করা যাবে। এর পাশাপাশি আরামের জন্য থাকছে ম্যাসেজ চেয়ার। ফলে আরামের ব্যবস্থা পুরোপুরি থাকছে এই লাউঞ্জ জুড়ে।
বদল আসছে কলকাতা স্টেশনের ফুড কোর্টেও। লাউঞ্জে ঢুকলেই চোখ আটকাবে রেলের কামরার মতো দেখতে ফুড স্টলটির দিকে। রিসেপশন থেকে কফি কাউন্টার। গোটাটাই রেলের কামরার ধাঁচে। যারা থাকবেন এই কাউন্টারে তাদেরকেও রেলের স্টাফেদের মতো পোশাক পড়ানো হবে।
ফলে লাউঞ্জে ঢুকলেই মনে হবে যেন আপনি পৌছে গেছেন রেলের কামরায়। আপাতত গোটা লাউঞ্জ সেজেগুজে অপেক্ষা করছে। তবে এর পাশাপাশি থাকছে বাচ্ছাদের জন্যে গেম পার্লার ও বড়দের জন্যে লাইব্রেরিও।