প্রয়াত মুকুল জায়া কৃষ্ণা রায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চেন্নাই। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠলেও পরবর্তীতে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। একমো সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। চেন্নাই থেকে এক দল চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। সেই মতোই চিকিৎসার জন্য কৃষ্ণা দেবীকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চেন্নাই। ফুসফুসের সমস্যা ক্রমশ প্রকট হতে শুরু করে। তবে শেষ রক্ষা সম্ভব হয়নি।তাঁর মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

গত ৩ জুন সন্ধ্যে নাগাদ মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের থেকে মুকুল রায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজও নেন তিনি। এরপর ৭টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান এই তৃণমূল সাংসদ। সেই সময় হাসপাতালে ছিলেন না মুকুল রায়।

অভিষেকের হাসপাতাল যাওয়া থেকেই প্রকাশ্যে মুকুলের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য আদানপ্রদান শুরু হয় তৃণমূলের। তখনও বিজেপিতেই ছিলেন মুকুল রায় ও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু । ১১ জুন সপুত্র মুকুল যোগদান করেন জোড়াফুল শিবিরে।

কৃষ্ণা রায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “বিধায়ক শ্রী মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ভোরে চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কৃষ্ণা দেবী বিভিন্ন জনহিতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি তাঁকে ঘনিষ্ঠভাবে চিনতাম। তিনি মানুষের ভালো চাইতেন।আমি কৃষ্ণা রায়ের স্বামী মুকুল রায় ও পুত্র শুভ্রাংশু রায় এবং পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

সম্পর্কিত পোস্ট