রাজ্যে এল ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রুটমার্চের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে রাজ্যে আজ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করেছে। আজ ১২ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে। এরমধ্যে দুর্গাপুরে দুই কোম্পানী ছাড়াও বর্ধমানে এক কোম্পানী, ডানকুনিতে পাঁচ ও চিৎপুরে চার কোম্পানী বাহিনী এসেছে।
রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাঁরা আপাতত টহলদারি ও রুটমার্চ করবে। ২৫-শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে রাজ্যে ১২৫ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
ভোটের দিন-ক্ষণ ঘোষণার আগেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিআরপিএফ জওয়ান আজ দুপুরে এসে পৌঁছলো বীরভূমের সিউড়িতে। তাঁদের স্বাগত জানাতে জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সিউড়ি আই.টি.আই কলেজে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাশীঘ্রই আরও চার কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এসে পৌঁছাবে। স্পর্শ কাতর এলাকাগুলিতে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা টহলদারি শুরু করবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার
নির্বাচনের কাজে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রত্যেকের গতিবিধির বিস্তারিত রিপোর্ট প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
তাঁরা কবে, কে, কোথায়, কখন টহলদারির কাজে যুক্ত আছেন সেই রিপোর্ট ছাড়াও রাজ্য পুলিশের তরফে কারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এই টহলদারির কাজে যুক্ত রয়েছেন রিপোর্টে তা উল্লেখ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে এসে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে খুশি নয় তারা। বহু ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
এই অবস্থায় ভোট ঘোষণার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলিতে রুটমার্চ করিয়ে ভোটারদের মনোবল জিততে চাইছে নির্বাচন কমিশন। যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয় তার জন্য বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সওয়াল করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তথা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। সেইমতো এই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
এখনো পর্যন্ত যা খবর যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসছে তার মধ্যে রয়েছে ৬০ কম্পানি সিআরপিএফ। এছাড়াও সিআইএসএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি এবং এসএসবির একটা অংশ থাকছে। এই মুহূর্তে করো না পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যে বুথের সংখ্যা বেড়েছে ২২ হাজারের মতো।
ফলে এবার প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি বুথে নির্বাচন হবে।এই মুহূর্তে সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব না হলেও ভোটারদের মনোবল বাড়াতে উত্তেজনা প্রবণ বুথ গুলিতে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এখন দেখার এই বিপুল বাহিনী মোতায়েন করার পরও আদেও রাজ্যের ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয় কিনা।