বর্ষা ভেজা রাজপথে বাস ডুমুরের ফুল , চড়া ভাড়া হাঁকলো অটো
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রায় দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার রাজ্যে ফের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে পথে নেমেছে অটো রিক্সা।তবে প্রথম দিনই শহরে গণপরিবহনের যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে হতাশ নিত্যযাত্রীরা। সকাল থেকে সরকারি বাস চোখে পড়লেও রাস্তায় বেসরকারি বাস ছিল না বললেই চলে।
জ্বালানি খরচ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভাড়া ভাড়ানোর ছাড় পত্র না দিলে পুরনো ভাড়ায় বাস চালাতে নারাজ অধিকাংশ বাস মালিক।সেই মত আজ রাস্তায় বেসরকারি বাস ছিল হাতে গোণা। সামান্য সংখ্যক যে সব রুটের বাস পথে নেমেছে তাতে বিধি মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী তোলা তো দূরস্থান চোখে পড়েছে বাদুর ঝোলা ভিড়।
বিভিন্ন রুটের অটোর বিরুদ্ধেও দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভাড়া বাড়িয়েছে ওলা উবরের মতো অ্যাপক্যাব। ফলে গণপরিবহণ চালু হলেও মানুষের দুর্ভোগ মেটেনি। এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়ে একাংশের বাস মালিকের আশ্বাস দীর্ঘদিন বসে থেকে বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি সারিয়ে শীঘ্রই পথে নামানো হবে। ফলে দুএকদিনের মধ্যে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “৫০% যাত্রী নিয়ে বাস চালানো মানে তো এই নয় যে বাসে ৫০% ডিজেল লাগবে। জ্বালানির দাম প্রতিদিন বাড়ছে। এই অবস্থায় এত কম জ্বালানিতে বাস চালাব কি করে? তাই অধিকাংশ বাস মালিক রাস্তায় বাস নামাতে পারলেন না।”বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে তাই রাজ্যের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বজায় রাখছে মালিক সংগঠনগুলি।
এখন ডিজেলের মূল্য ৯০ টাকা ছুঁই ছুঁই। তাই এই মুহূর্তে লকডাউন মিটলে বাস চললে ভাড়া বাড়ানো হোক, এমনটাই চাইছেন তাঁরা। একই সাথে তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ডিজেলের উপর জিএসটি বসাতে হবে। ব্যাঙ্ক ইএমআই, বিমা, টোল ট্যাক্স অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে মকুব করতে হবে।
বাস শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের দাবি, এক মাত্র ১৯৭৫ সালে ১০ পয়সা ভাড়া থেকে ২০ পয়সা ভাড়া হয়েছিলো তারপর হতে যখন যেমন মানে দ্বিগুণ ভাড়া এই রাজ্যে কোনও দিন হয়নি। বাস শ্রমিকদের দাবি বাজারের সঙ্গে সমতা রেখে এবং অন্য রাজ্যের সাথে সমতা রেখে ভাড়া বৃদ্ধি করা হোক। ১৯৯০ সাল হতে এই রাজ্যে যতবার ভাড়া বৃদ্ধির জন্য কমিটি গঠন হয়েছে তার কোনও রিপোর্ট নেই। এমনকি এক সময় প্রবুদ্ধনাথ রায়ের রিপোর্ট মানা হয়নি।
বাস শ্রমিকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী অনেক মানবিক। ওঁর কাছে আমাদের আবেদন বিজ্ঞানভিত্তিক ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। কোভিডের জন্য যে বিশাল লোকসানের বোঝা বাসমালিকদের উপর চেপেছে , তার থেকে রেহাই পেতে হলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সহানুভূতির হাত বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক বাসমালিক হারিয়ে গিয়েছেন। বেসরকারি পরিবহণ কার্যত কোমায় চলে গেছে।