উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব, বন্ধের মুখে করোনা পরীক্ষা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে নতুন করে লালারসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা আপাতত বন্ধের মুখে। সূত্রের খবর, প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নমুনা পরীক্ষার ‘চাপ’ সামলাতে পারছে না টেস্টিং ল্যাবগুলি। জমছে পাহাড়প্রমাণ সোয়াব স্যাম্পেল।
এর জেরে এমনকি নমুনা পরীক্ষার যে হিসাব প্রতিদিন করোনা বুলেটিনে দেওয়া হচ্ছে তা আসলে ন্যূনতম পাঁচ থেকে ছয়দিন আগেকার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট।
অন্যদিকে, প্রায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে থাকছে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। অভিযোগ, সেই ব্যাকলগ কাটাতেই হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্য প্রশাসনের।
নতুন পরীক্ষা হবে কী করে? দিশাহারা অবস্থা সরকারের। গত দু’দিনে অচলাবস্থা তীব্র। পরিণামে আগামী বেশ কিছুদিন নতুন করে নমুনা পাঠাতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। সকাল হতেই ফোনেই পৌঁছাচ্ছে নির্দেশ। এর ফলে করোনা সংক্রমণের চেহারা আরও তীব্র হবে বলেই আশঙ্কা চিকিত্সকদের।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সাতটি জেলায় অলিখিত ‘নির্দেশ’ এসেছে নবান্ন থেকে। জেলাশাসক হয়ে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে যাচ্ছে সেই নির্দেশ- ‘নমুনা পাঠানোর দরকার নেই আপাতত’।
আমফানের ২২ দিন পর মিলল বিদ্যুৎ, আর্থিং তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত ১
স্বাস্থ্যভবনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘আমাদের ল্যাবগুলিতে যা ব্যাকলগ আছে তাই তো পরীক্ষা করে উঠতে পারছি না। নতুন নমুনা যদি পাঠানো হয়, তা রাখা হবে কোথায়? সেই পরিকাঠামো কোথায়? ফলে জেলাগুলিকে বলা হয়েছে নতুন করে এই মুহূর্তে নমুনা পাঠানোর দরকার নেই’।
অর্থাত্, করোনা সংক্রমণ যখন রাজ্যে সর্বোচ্চ মাত্রা নিয়েছে, যখন আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাপিয়ে গেছে, সেই সময়তেই নতুন করে নমুনা পরীক্ষাই বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যে। কার্যত সিদ্ধান্তহীনতায় অসহায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের।
হুগলী থেকে মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া, মালদহ থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার- একের পর এক জেলা থেকে লালারসের নমুনা পাঠানো বন্ধ।
দক্ষিণবঙ্গের এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘ নতুন করে নমুনা সংগ্রহ তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে বারণ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরও ওপরে অন্যদিকেও চাপ। পরীক্ষা করাতে আসছেন শঙ্কিত মানুষজন। কী করব?