৩০ ঘন্টা বন্দী থাকার পর গ্রেফতার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৩০ ঘন্টা হোটেলের ঘরে বন্দী থাকার পর আজ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, দীপেন্দর হুডা , অজয় কুমার লালু সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে সীতাপুর জেলার হরগাঁও থানায়।
এর মাঝেই বিস্ফোক অভিযোগ করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি বলেন “সীতাপুরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে আমি লখনউ এসেছিলাম। কিন্তু আমাকে বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।” প্রতিবাদে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বিমানবন্দরের ভেতরেই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সম্পূর্ণ লজ্জাজনক। সূর্যোদয়ের আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, দীপেন্দর হুডাকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার গভীর রাতেই লাখিমপুরের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ আটকে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি৷
তারপর সেখান থেকে পুলিশ জোর করে প্রিয়াঙ্কাকে সীতাপুরের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়৷ সেখানে পৌঁছেই পুলিশের উপর মেজাজ হারান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক৷ সোমবার ভোররাতে ওয়ারেন্ট ছাড়া মাঝ রাস্তায় তাঁর গাড়ি আটকানো হয়৷ পুলিশের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করেন কংগ্রেস নেত্রী৷ তাঁদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান৷
কংগ্রেসের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা একা যোগীর পুলিশ বাহিনীর দিকে তেড়ে যান৷ আঙুল উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, আমাকে গাড়িতে তুললে কিডন্যাপিংয়ের অভিযোগ আনব৷ এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই৷ কিন্তু ভারতে আছে৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে পিষে কৃষকদের মৃত্যুতে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর। সোমবার লখিমপুর খেরিতে দুই কৃষকের মৃত্যুর জেরে হওয়া সংঘর্ষের পরই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছল তৃণমূলের তিন প্রতিনিধি দল। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় বলেছিলেন, রাম রাজ্য নয়, উত্তরপ্রদেশে চলছে কিলিং রাজ।