গাইছেন বামদের গান, বিলম্বিত বোধোদয় শুভেন্দুর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে একে অপরকে আক্রমণের ঝড়। ব্যক্তিগত পরিসর হোক বা রাজনৈতিক ময়দান কোন ক্ষেত্রেই একে অপরকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয় যুযুধান দুই পক্ষ।
সম্প্রতি পুরনো দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই ক্রমশ শাসক শিবিরের প্রতি বিজেপির আক্রমণের বহর বাড়তে শুরু করেছে। এক একটা জনসভা থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলছেই।
তবে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে গুনগান গাইতে শুরু করেছেন বামেদের। বিষয়টা খানিকটা ভূতের মুখে রাম নামের মত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বিষয়টি পর্যালোচনা করে বলছেন দীর্ঘ ২১ বছর পর এই বোধোদয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ অধিবেশনের শুরু আগে বিধানসভার সামনে বিক্ষোভে ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’ এর
তাদের মতে নির্বাচনের আগে এই গুনগান শাসক শিবিরের প্রতি অশনি সঙ্কেত। কারণ এমন অনেকেই রয়েছেন যারা বামকে নৈতিকভাবে সমর্থন করলেও ভোটটা দেবেন তৃণমূলে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নির্বাচনের প্রেক্ষাপট দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে বাম এবং কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে রয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। যতই একেরপর এক ইস্যুতে শাসক শিবির ও বিজেপিকে বিঁধলেও রাজনীতির ময়দানে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর তারা দিতে পারবেন না ।
তবে বাম কংগ্রেসের মূল লড়াই যে রজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে একথা তারা আগেও স্পস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল। তাই ভোট কাটাকুটির গল্পে পাল্লাভারী বিজেপির দিকে করতেই এই নতুন কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
পাশাপাশি বিলম্বিত বোধোদয়ের মাধ্যমে নৈতিকভাবে বামেদের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হবে বিজেপি। সেইসঙ্গে বামেদের সমর্থনের মাধ্যমে জনমানসে একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রকাশ আনার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কতটা সফল হবে এই নতুন রণনীতি প্রয়োগ তা সময়ের অপেক্ষা।