বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিশ অভিষেকের

দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিস দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসু বুধবার বাবুলের মুম্বইের অফিস ও রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতরের ঠিকানায় জোড়া চিঠি পাঠিয়েছেন।

৭২ ঘন্টার মধ্যে বাবুল নিঃশর্ত ক্ষমা না-চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার দায়ে মামলা করা হবে বলেও ওই চিঠিতে জানিয়েছেন অভিষেকের আইনজীবী।

আইনি নোটিশে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসুর মাধ্যমে অভিষেকের জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয় যা মন্তব্য করেছিলেন তা ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক। এবং এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বাবুলের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে। আর তা যদি না হয় তা হলে বাবুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি আরও বলেন, ৩ পাতার আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, আদালতের রায়কে অমান্য করে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাবুল ৩১ ডিসেম্বর অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন।

তবে অভিষেকের আইনজীবীর পাঠানো এই নোটিস প্রসঙ্গে বাবুল বলেছেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানি না। উনি তো মাঝে মাঝেই মানহানি মামলার নোটিস পাঠান। আমার আইনজীবী বিষয়টি দেখে নেবেন।’’

৩১ ডিসেম্বর ঠিক কী বলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়?‌ জানা গিয়েছে, সেদিন সংবাদমাধ্যমের সামনেই অভিষেকের নাম করে বাবুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘‌ভাইপো আবার বলেন যে তাঁর নাম কেউ নিতে পারবেন না। আমি বলছি, ভাইপোর নাম হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’‌

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/narendra-sing-tomar-this-time-you-gave-a-letter-to-mamata-with-kisan-samman-nidhi/

এর পরই বাবুল সুপ্রিয় বিস্ফোরক মন্তব্য করে অভিযোগ করেন, ‘‌কলকাতায় ভাইপো যে কোটি টাকার বাড়ি বানিয়েছেন তা কয়লা ও গরু পাচারের টাকা দিয়ে তৈরি।’‌ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‌আমি নাম নিয়ে বলছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরুপাচার, কয়লাপাচারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এর কাটমানি নেন।’

এর আগেও অভিষেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন বাবুল। ২০১৭-র নভেম্বরে আসানসোলে এক সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল বলেছিলেন, ‘‘বেআইনি কয়লা মাফিয়া, পাচারে অভিযুক্ত অভিষেক।’’

বাবুলের ওই মন্তব্যের পরে তখন নগর দায়রা আদালতে মানহানির মামলা করেন অভিষেক। রায়ে আদালত জানায়, কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য করা যাবে না। এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে।

নিম্ন আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যান বাবুল। কলকাতা হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়কেই মান্যতা দেয়। সেই জায়গা থেকে অভিষেকের আইনজীবীর মত, তথ্য প্রমাণ ছাড়া যে হেতু কোনও মন্তব্য করা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছিল, তার পরেও বাবুল ওই ধরনের মন্তব্য করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট