অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ক্রমেই অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। এখনও তিনি শহরের নামী হাসপাতাল বেলভিউয়ে চিকিৎসাধীন। তবে আগের তুলনায় ভালো আছেন তিনি। তাঁকে লিক্যুইড খাবারও দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, কাছের মানুষদের চিনতে পারছেন তিনি। সামান্য কথাও বলেছেন। এই মুহূর্তে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে সমান্য পটাশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে। সিরিঞ্জের সাহায্যে তা তাঁর শরীরে দেওয়া হচ্ছে।

একথাও সত্যি কোভিড নেগেটিভ আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন বাংলা ছবির এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। দিনে চার লিটারের বেশি অক্সিজেন আর লাগছে না। মেয়ের সঙ্গেও এদিন কথা বলেছেন সৌমিত্রবাবু।

এমনকী তাঁর আর জ্বরও আসেনি। করোনা সংক্রমণ নিয়ে গত সপ্তাহে দক্ষিণ কলকাতার এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তারপর কয়েকটা দিন ধরে চলেছে যমে মানুষে টানাটানি অবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁর জন্য ২ বার প্লাজমা থেরাপির বন্দোবস্ত করা হয়।

তারপর থেকেই ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। এদিন হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীরের আচ্ছন্নভাব দূর করার জন্য এখনও মিউজিক থেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। তাতে কাজও হয়েছে।

পছন্দের রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নিজের সিনেমার পছন্দের গান শুনেছেন সৌমিত্রবাবু। তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব কেটে ভালই ঘুম হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতার। নতুন করে কোনও শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। জানা গিয়েছে, সৌমিত্রবাবুর মস্তিষ্কে যে স্নায়ুঘটিত সমস্যা ছিল তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/alleged-rape-with-false-marriage-promise-arrested-in-habra/

এছাড়া শরীরে ফুসফসের সংক্রমণের জন্য অক্সিজেনের তারতম্য হওয়ায় তাঁকে যে বাইপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল, সেটাও অনেকটাই কমানো হয়েছে। রাতে ভাল ঘুম হচ্ছে অভিনেতার। সৌমিত্রবাবুর অবস্থা ক্রমাগত আরও ভাল হচ্ছে। এই খবরে খুশির হাওয়া সবার মধ্যে।

এদিকে কোভিডের জীবাণু অভিনেতার শরীর থেকে বিদায় নিতেই জ্বর নেমেছে। যদিও এখনও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিত্সকরা। আইটিইউ-তেই রাখা হয়েছে তাঁকে। কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ চিকিত্সকরা। তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল স্বাভাবিক।

এছাড়াও শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার রোজের নরম্যাল এবং রেগুলার টেস্ট গুলো করা হয়। তাতে সব রিপোর্টই সন্তোষজনক এসেছে বলে খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট