লঙ্ঘিত হয়েছে বিধানসভার আইন, CBI-ED কে তলব অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধায়ক মন্ত্রীদের কোনো তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠালে বা কোনো তদন্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে চাইলে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। এরাজ্যে সিবিআই বা ইডি তদন্তে নামলেও আইন মেনে তা এগোয়নি। এমনটাই অভিযোগ বিধানসভা কর্তৃপক্ষের।
ভোট-পরবর্তী হিংসার যে চার্জশিট তাতে বিধায়ক-মন্ত্রীদের নাম উঠলেও তা ঘুনাক্ষরেও জানতে পারেনি অধ্যক্ষ। এবার এই বিধি ভঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিধানসভায় তলব করতে চলেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে তা লঙ্খন করেছে ইডি এবং সিবিআই। অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবেই এই আইন লঙ্খন করা হয়েছে। এই বিষয়ে উপযুক্ত জবাব জানতে চায় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।
বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট দুই দপ্তরে। চিঠির জবাবে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট না হলে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের ।
ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নারদ মামলায় চার্জশিট পেশ করে ইডি।
বিশেষ আদালতের তরফে বিধানসভায় মূল অভিযুক্তদের কাছে তা পৌঁছে দিতেই বিধানসভার সমন পাঠানো হয়েছিল। পরে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে।
একাদশ শ্রেণির সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত অধ্যায়
চার্জশিটে এই তিনজনের নাম রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিটে নাম রাখতে গেলে যে আইন মেনে চলতে হয়, এক্ষেত্রে তার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়টি কেন অধ্যক্ষকে জানানো হলো না সে প্রশ্নও তোলেন তারা।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অফিস থেকে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতৃত্বকে তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে দেখা যায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।
মদন- ফিরহাদ- সুব্রত কে গ্রেফতারের পরেই নতুন করে এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।