দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বিজেপির প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও বিধানসভায় পাশ বিধান পরিষদ প্রস্তাব
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের আইন সভার উচ্চ কক্ষ বিধান পরিষদের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে। বিধান পরিষেদ পুনর্গঠনের জন্য ২০১১ সালে সরকার পক্ষ একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। তার রিপোর্ট বিধানসভায় জমা পড়লেও ওই প্রক্রিয়া সেসময় আর এগোয়নি। রাজ্যে তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় বিধান পরিষদ গঠনের ব্যপারে তত্পর হন।
সেই লক্ষ্যে বিধান পরিষদের পক্ষে জমা পড়া অ্যাডহক কমিটির রিপোর্ট বিধানসভার সদ্যদের মধ্যে বিলি করার পাশাপাশি আজ বিধান পরিষদ গঠনের ওপর সভায় একটি প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের স্বপক্ষে বলতে গিয়ে প্রস্তাবক পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সংবিধানেই রাজ্যকে বিধান পরিষদ গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হযেছে।রাজ্য সরকার বর্তমানে একে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনিয়তা অনুধাবন করছে । রাজনীতির বাইরে যেসব বিশিষ্টরা নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ পাননা অথবা ভোটে দাঁড়াতে চাননা এর ফলে তাঁরা সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ”
হাসিনার পাঠানো হাঁড়িভাঙা আমে মাতোয়ারা দিল্লি, কেন এমন নাম?
পার্থ বাবু বলেন, “কেন করা হচ্ছে তার জবাব সংবিধানেই দেওয়া আছে। রাজ্যে আর্থিক অবস্থা নিয়ে কেউ কেউ চিন্তিত কিন্তু কোন শিক্ষকে মাইনে বন্ধ হয়েছে? কেউ এম এল এ ভোটে হেরে রাজ্য সভায় সদস্য হচ্ছেন এ উদাহরণ তো ভুরি ভুরি আছে।আপনারা সংখ্যায় বেড়েছে ন বারুন। কিন্তু রাজ্যে থেকে বাংলার কথা চিন্তা করব না এটা হতে পারে না। এর প্রয়োজনীয়তা আছে। বিশিষ্ট রা বলছেন আছে।”
দেশের অন্য বহু রাজ্যেও যে বিধান পরিষদের অস্তিত্ব আছে পার্থ বাবু সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন। উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর কারণে ১৯৬৯ সালে তত্কালীন বাম সরকার আইন করে বিধান পরিষেদ ভেঙে দেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এর আগে বিরোধীরা অহেতুক ব্যয় বাহুল্য, স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় পরিষদীয় মন্ত্রী তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। প্রবীণ বিধায়ক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক প্রমুখ প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন।