রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিধায়করা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই ইস্যুতে টুইটে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যসরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আজ ফের আরও একবার এই ইস্যুতে বৈঠকে বসতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সঙ্গে থাকছেন বিজেপির বিধায়করা। মূলত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং করোনার টিকা নিয়ে দুর্নীতির সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে সেইসব কিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সেরেই জরুরী তলবে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। সেখানেই দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
শুভেন্দু অধিকারীকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের অবস্থা রাষ্ট্রপতি শাসনের থেকেও খারাপ। বারংবার বিজেপি নেতৃত্বরা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে সরব হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছাড়াও পরবর্তীতে বঙ্গ বিজেপির রুটম্যাপ কী হবে তা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রচুর কর্মী এখনো পর্যন্ত ঘরছাড়া। তাদেরকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্বরা।
কংগ্রেসের ব্যর্থতায় দায়ী মান্নান-অধীর দ্বন্দ্ব, মত নীচু তলার কংগ্রেস কর্মীদের
অভিযোগ উঠছে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, ভোটের ফলাফল বেরোনোর পরেই আবার ফের তৃণমূলের ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন সপুত্র মুকুল রায়। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কদের তিনি ফোন করতে শুরু করেছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই মিলেছে সবুজসংকেত।
ইতিমধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন বিজেপির সমালোচনায়। একইসঙ্গে বাংলায় ৩৫৬ লাগু করা নিয়ে যে জু জু দেখানো হচ্ছে তা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্যের যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্যের বিশ্লেষকরা।