কভিড সামগ্রীতে আয়কর ছাড় দেওয়া হোক, মোদীকে চিঠি মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েব ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ম করে চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত করোনা রিলেটেড বিষয় নিয়েই প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।

রবিবার আরো একবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এদিন মূলত তাঁর বিষয় ছিল যে ব্যক্তি বা সংস্থা করোনা মহামারীর মধ্যে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে চাইছে। রাজ্য সরকারকে অক্সিজেন কনসেনট্রেট, জীবনদায়ী ওষুধ, ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিকাঠামো জন্য জিনিসপত্র দিয়ে রাজ্যকে সাহায্য করতে চাইছে তাদের জিএসটি অথবা কাস্টম ডিউটি ছাড়ের জন্য এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

আসলে এটা এমন একটা পরিস্থিতি যা রাজ্য সরকারের একক ভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আর সে কারণেই বিভিন্ন এনজিও ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাহায্যের জন্য হাত বাড়ালেও তাদের এইসব জিনিস আমদানী করতে গিয়ে মোটা অংকের জিএসটি ও কাস্টম ডিউটি দিতে হচ্ছে। এই বিষয়টি তারা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছিলেন।

যেহেতু কাস্টমের গোটা বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে রয়েছে। জিএসটির ক্ষেত্রেও একটা অংশ কেন্দ্র পায়, তাই এদিনের চিঠিতে কভিড রিলেটেড জিনিসপত্রের আমদানির ক্ষেত্রে সিজিএসটি এবং কাস্টম ছাড়ের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন করোনার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেন্দ্র এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে রাজ্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। রাজ্য সরকারকে কভিড সামগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে ট্যাক্স ছাড়ের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার।

কোভিড মোকাবিলার জন্য যে পরিমাণ ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রয়োজন রয়েছে, তার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যেও ফারাক হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেন মমতা।

প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

  1. করোনা বৃদ্ধির পরে এ রাজ্যেও অক্সিজেনের সংকট তৈরি হয়েছে অথচ বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্র এ বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।

সম্পর্কিত পোস্ট