দুর্গাপুজোর মতো কালী-ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজোতেও নো এন্ট্রি হাই কোর্টের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এবারে দুর্গাপুজোয় ধাঁচেই কালী পুজোর মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর নো এন্ট্রি জারি করল হাইকোর্ট। দুর্গাপুজোতেও একই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। আর এর ফলে চলতি বছরে দুর্গাপুজোর অনিয়ন্ত্রিত ভিড় এড়ানো গিয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে বাংলা।

দুর্গাপুজোর পর করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কিন্তু শেষ হয়নি উৎসবের মরশুম।

একে একে আসছে কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর মত একের পর এক উৎসব। এবারে দুর্গাপুজোর নিয়ম মেনেই যাতে কালীপুজো হয়, সেটাই চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট।

দুর্গাপুজোর মত এবার জগদ্ধাত্রীপুজো, কালীপুজো ও ছটপুজোতেও একইরকম বিধিনিষেধ আরোপ করুক কলকাতা হাইকোর্ট৷ এমনই আর্জি জানিয়ে মামলা করেছেন অজয় কুমার দে ৷

সেই মামলার শুনানিতেই এদিন হাইকোর্ট জানায় দুর্গাপুজোর নিয়ম মেনে হোক কালীপুজো। সেই সঙ্গে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারেরও প্রশংসা করেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/nitish-kumar-hints-at-retirement-from-political-life-in-bihar-election-campaign/

যেভাবে রাজ্যসরকার দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ পালন করেছে তাতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেই শুনানি চলাকালীন জানান মহামান্য বিচারপতি।

এবারের দুর্গাপুজোয় প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড দিতে হবে। সেইসঙ্গে আরোপ করা হয়েছিল একাধিক বিধিনিষেধ। যুগান্তকারী ওই রায়ে পুজোর সময় হুজুকে বাঙালিকে ঘরবন্দি করা গিয়েছিল৷

দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটিও করেছিলেন অজয় কুমার দে। সেই জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল,প্রতিটি পুজো মণ্ডপ হবে নো-এন্ট্রি জোন।

মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি৷ পঞ্চমীর দিন সকালে খারিজ করা হল ফোরাম অফ দুর্গোৎসবের আর্জি।

দুর্গাপুজোর মত একই ধাঁচে এখন কালী, জগদ্ধাত্রী এবং ছট পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণেও পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কলকাতা হাইকোর্ট। এমনই আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন হাওড়ার বাসিন্দা অজয় কুমার দে।

করোনা পরিস্থিতিতে কালীপুজো-সহ আগামী উৎসবগুলিতে বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কোভিড আবহে রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষকে স্বস্তি দিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল এবছরের মতো বাজির ব্যবহার, বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

কার্যত সারা রাজ্যের জন্যই এই নির্দেশ বহাল করেছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে দুর্গাপুজোর মতোই কালিপুজোর মণ্ডপেও বহাল হচ্ছে ‘নো-এন্ট্রি’। সব জায়গায় মেনে চলতে হবে ৫ মিটারের দূরত্ব। অর্থাৎ মণ্ডপের সামনে থেকে ৫ মিটার আগেই থেকে যাবেন দর্শকেরা।

এর সঙ্গে আদালতের বাড়তি সংযোজন এবারে আলোকসজ্জা করা যাবেন না কোথাও। তবে এদিন ছট পুজো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। তবে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে যাতে ছট পুজোর কোনও কাজ না হয় তা দেখতে রাজ্য সরকারকে বলবেন তাঁরা এমনটাই জানিয়েছে আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট