ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট্ট শুভ, অর্থের অভাবে বন্ধের মুখে চিকিৎসা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  লকডাউন কেড়েছে উপার্জন। ক্যান্সারে আক্রান্ত সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ব্যর্থ বাবা। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছোট্ট শিশু।

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুর নাম শুভ দাস। বয়স ৩ বছর। দিনরাত প্রবল কষ্টে ভুগছে সে। নিরুপায় হয়ে ছেলের কষ্ট দেখা ছাড়া -আর কিছু করার নেই বাবা-মায়ের।

গ্রামবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে ফ্রিতে চিকিৎসা চলছে শিশুটির। কিন্তু  ওষুধের খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছে পরিবার। ছেলেটির বাবা বিষ্ণু দাস ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে জোগাড়ের কাজ করতেন। প্রায় একমাস ধরে ছেলের চিকিৎসা করানোর আশায় বাড়িতে বসে রয়েছে সে।

প্রাথমিক ভাবে মালদা, হরিশ্চন্দ্রপুর,চাঁচল,কাটিয়ার ও রায়গঞ্জে নিয়ে গিয়ে শিশুটির চিকিৎসা করানো হলেও চিকিৎসকেরা তাকে রেডিয়েশন থেরাপির পরামর্শ দেন। পাশাপাশি দ্রুত অপারেশন করার পরামর্শও দেন।

অপারেশন করতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।আনুষাঙ্গিক খরচও। ফ্রিতে চিকিৎসা ‌চললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তার ওষুধের খরচ কীভাবে জোগাড় হবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rlp-dumped-bjp-ally/

বিষ্ণু দাস জানান, তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে । স্বামী-স্ত্রী ও‌ বৃদ্ধ বাবা-মা সহ মোট ছয় জনকে নিয়ে অভাবের সংসার। প্রায় তিন মাস আগে ছেলে শুভ মায়ের সঙ্গে বিহারের দামাইপুর গ্রামে দাদুর বাড়িতে ঘুরতে যায়। বাড়ির কাছেই পুকুরে পড়ে কানে জল ঢুকে যায়  শিশুটির।

তারপরই ডান কানে ঘা হয়। ছোট্ট একটি ঘা থেকে মারন রোগ ক্যানসারে পরিনত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করে জানিয়ে দেন তারা, যে অপারেশন করা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই।

সঞ্চিত অর্থে চিকিৎসা করে‌ প্রায়‌‌ সব‌ শেষের পথে। তিনি আরও জানান, এই করোনা আবহের মধ্যে বিভিন্ন মানুষের কাছে হাত পাতলেও তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অসহায় অবস্থায় সাহায্য়েরর জন্য প্রহর গুনছে ছোট্ট শুভর পরিবার।

সম্পর্কিত পোস্ট