মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে বাড়ল লোকাল ট্রেন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ সাড়ে সাতমাস পর কলকাতা ও শহরতলিতে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনের ভিড়ের বহর দেখেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না।
বৃহস্পতিবার রেল-রাজ্য ফের দু’পক্ষ বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিল অফিস টাইমে প্রায় ১০০ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হবে। লোকাল ট্রেন শুরু হওয়ার আগে থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, করোনা পরিস্থিতি শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে টেন চালানো যাবে কী?
কিন্তু সোমবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই দেখা গিয়েছে, দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে একরকম প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আর তাই মঙ্গলবারই লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয় ঘোষণা করল রেল কতৃপক্ষ। সোমবার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলে আফিস টাইমে ৭৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হয়।
আগামী সপ্তাহ থেকে আফিস টাইমে প্রায় ১০০ শতাংশ ট্রেনই চালানো হবে। এদিন ভবানীভবনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রেল-রাজ্য বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান রাজ্য ও রেলের কর্তারা।
রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে যথাসাধ্য করা হচ্ছে। তাই রেলের তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে আরও বেশি লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়টি ভেবে দেখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, অফিস টাইমে ১০০ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-calcutta-municipality-will-provide-government-houses-to-all-the-lost-slum-dwellers-in-tapsia/
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছিলেন বক্তব্য, ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে তাদের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমবে এবং তার ফলে ভিড়ও কমবে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন রেল কর্তারাও। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা নিশ্চিন্তের ছোঁয়া।
প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর করোনাকালে বুধবার কলকাতা ও শহরতলিতে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা ফের চালু হয়েছে। শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে প্রাক্-করোনাকালের তুলনায় ৭০ শতাংশেরও কম ট্রেন নিয়ে নতুন ভাবে লোকালের পরিষেবা চালু করেছিল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
আগামী সপ্তাহে লোকালের সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে- এমন ইঙ্গিতও মিলেছিল রেলের তরফেও। কিন্তু প্রথম দিনই লোকালে ভিড় দেখে রেলকে অবিলম্বে ট্রেন বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই শীঘ্রই সেই সিদ্ধান্তে সহমত হল রেল। এই সপ্তাহ থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
কলকাতা ও আশপাশের বিভিন্ন স্টেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের ছবি থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছেন, ব্যস্ত অফিস টাইমে ভিড় আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ট্রেনে ও স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা যা ছিল, তাতে করোনা-পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অন্যতম জরুরি যা, সেই শারীরিক দূরত্ববিধির দফারফা হয়েছে।
তবে আশার কথা এটাই, অন্তত ৯৮-৯৯ শতাংশ যাত্রীর মুখেই মাস্ক ছিল এবং তাঁরা অকারণ হুড়োহুড়ি করে একে অন্যের গায়ে পড়েননি। ফলে নতুন করে অফিস টাইমে আবার আগের মতো লোকাল চালু হলে আরও সতর্ক থাকার সুযোগ বাড়বেই।
তবে এদিনের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে শুরুতে যে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কেন তা বজায় রাখা গেল না। ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে যে ভিড় নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছিল কেন তা মানা হল না।
জবার এড়িয়ে গেলেও রেল কর্তারা জানিয়েছেন, যেহেতু এখন স্কুল কলেজ বন্ধ তাই রেল যাত্রীর সংখ্যা কম হচ্ছে। স্বাভারিক সময়ে প্রতিদিন লোকাল ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ। তবে মঙ্গলবার গোটা দিনে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ লেকাল ট্রেন ব্যবহার করেছে।