লকডাউন লঙ্ঘন করলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, হুঁশিয়ারী প্রধানমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইতে মারা গিয়েছেন ফিলিপিন্সের এক নাগরিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৫। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।

অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে সোমবার বিকেল ৪ টে নাগাদ নবান্নে মন্ত্রীসভার বৈঠক বাতিল করে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগেই বাম-কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে একযোগে লড়াই করতে প্রস্তুত তারা।

সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও সংক্রমণের ভয় বাড়ছে, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে প্রায় গোটা রাজ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে এটি সম্পূর্ণ ‘কমপ্লিট সেফটি রেস্ট্রিকশন’। সোমবার বিকেল থেকে পরের চার দিনের জন্য এই নিয়ম জারি থাকবে।

রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রায় সাড়ে চার দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের প্রায় সব বড় শহর।

সোমবার অর্থাৎ ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার, ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে খোলা থাকবে সমস্ত জরুরী পরিষেবা।

দেশের ১৩ টি রাজ্য ও ৮০ টি জেলায় লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকেই এখনও লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিছুটা অসন্তোষের স্বরেই সতর্ক করতে চেয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে বলেন, “এখনও অনেকে লক ডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দয়া করে নিজেকে বাঁচান, আপনার পরিবারকে বাঁচান। সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো পালন করুন।”

পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলির কাছে তিনি অনুরোধ করেন, লকডাউন যারা মানছেন না, সেইসব লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে সব রাজ্যের মুখ্য সচিবকে জানানো হয়েছে যে লক ডাউন ভাঙলে কয়েকটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা নিতে।

লকডাউন অমান্য করলে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯, ২৭০, ২৭১ ধারায় মামলা হবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে প্রযোজ্য হবে ১৮৮ ধারা।

২৬৯ ধারা সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর বিরুদ্ধে, যা জামিন অযোগ্য। ২৭০ নম্বর ধারাও জামিন অযোগ্য, জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক এমন সংক্রমণ ব্যাধি ছড়ানোয় এই ধারা প্রযোজ্য। এতে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

কোয়ারেন্টাইনের আইন ভাঙলে বলবৎ হবে ২৭১ ধারা।

সম্পর্কিত পোস্ট