আসামে লকডাউন, চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন কোচবিহারের দেবগ্রামের তাঁত শিল্পীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোচবিহারের আসাম বাংলা সীমান্তের মানসাই এলাকার দেবগ্রাম। গ্রামের প্রধান জীবিকা তাঁত। প্রায় দেড় হাজার পরিবার তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। করোনা পরিস্থিতিতে টান পড়েছে জীবিকায়। বাড়িতে ভাত নেই। এমনটাই দুঃখের কথা জানাচ্ছেন এলাকার তাঁত শিল্পীরা।
তুফানগঞ্জ মহকুমার বকসিরহাট থানা এলাকার এই দেবগ্রাম। মূলত হস্তচালিত তাঁতের মাধ্যমে এখানে তৈরি হয় মেখলা। এই মেঘলা আসামের জাতীয় পোশাক। সপ্তাহে দুই দিন কোচবিহারের এই মেখলা পাড়ি দেয় আসামে। লকডাউনের কারণে ২০২০ সালে অবস্থার অবনতি হয়েছিল তাদের।এবার আরো একবার।
আসাম থেকে চাহিদা দিন দিন কমে আসছে। অন্যদিকে প্রত্যেকটি তাঁতি পরিবারের মাথায় রয়েছে লোনের বোঝা। সব মিলিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলি সরকারি সহযোগিতা দাবি করছেন।
স্থানীয় শিল্পী সিন্ধু দাস বলেন, আসাম কাপড় না নিলে আমরা কিভাবে চলব। বাংলার সরকার আমাদের কাপড় কিনে নিন। প্রায় ১৫০০ পরিবার ধুঁকছে অর্থাভাবে ও খাদ্যাভাবে। যে কাপড় ১৪০০ টাকা, ১৫০০ টাকায় বিক্রি হত, অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে সেই কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। দিনদিন সুতোর দাম বেড়ে যাচ্ছে কাপড় বিক্রি হচ্ছে না।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ রাজ্যপাল, পাল্টা ইস্তফা দেওয়ার কথা জানালো তৃণমূল
স্থানীয় শিল্পী দীপঙ্কর দাস জানান, ঘরে কাপড় পড়ে রয়েছে, বিক্রি হচ্ছে না। আসাম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দশম শ্রেণীর ছাত্র তথা শিল্পী রঞ্জিত বর্মন বলেন, স্কুল বন্ধ তাই দুই তিন মাস থেকেই কাজ শিখছি। তবে জানি না কাজ শিখে কি হবে, বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ।
সরাসরি সরকারি সহযোগিতা দাবি করেছেন এই তাঁতি পরিবারগুলি। তাদের কথায় সরকার সকলের জন্য অনেক কিছু করেছে। পাটি শিল্পী, সংগীতশিল্পী সকলের জন্য সরকার সহযোগিতা করেছে। এবার বাংলার তাঁতি শিল্পী রক্ষার্থে উদ্যোগ গ্রহণ করুক নতুন সরকার। প্রচুর টাকার ঋণ রয়েছে তাদের, ঘরে বাচ্চা রয়েছে, সংসার চলছে না।
এলাকার নবনির্বাচিত বিধায়ক মালতি রাভা রায় বলেন, তাঁতী শিল্পীরা সত্যিই যথেষ্ট কষ্ট করছে। সরকার তাদের নিয়ে কোনো ভাবনা ভাবছে না। এই বিষয়ে অবিলম্বে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করব এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।