#LockDown: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরই মতামত জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আরো দুজন নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে সুস্থ এবং মৃতদের বাদ দিয়ে বর্তমানে ৭১ জন আক্রান্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ জন ১১ টি পরিবারের সদস্য। নবান্নে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ জন ব্যক্তিদের মধ্যে আজ আরও তিনজন ছাড়া পেয়েছেন। অন্য দুজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাদেরও দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে আরো ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর আগে আরো ৩০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।

আরও পড়ুনঃমুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই, বিস্ফোরক মন্তব্য সোমেন মিত্রের

বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোট তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। লকডাউনের আওতায় কোন কোন পরিষেবাকে যুক্ত করা হবে বা ছাড় দেওয়া হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

জরুরী পরিষেবা এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে এবং কালোবাজারি রুখতে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে অন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আগেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। কেন্দ্রীয় সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখেই রাজ্যের মতামত জানানো হবে। তবে মহামারী রক্ষার স্বার্থে লকডাউন হলেও তা মানবিকভাবে রুপায়ন করার ওপর মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।

করোনা চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ বিষয় বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্কফোর্সের সদস্য ডাক্তার সুকুমার মুখোপাধ্যায় রোগ সংক্রমণের মূল কেন্দ্র গুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলিকে বিচ্ছিন্নকরণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।

তাঁর দাবি এ রাজ্যের পরিস্থিতি এখনো অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় ভালো। রাজ্য সরকার দ্রুত লকডাউনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করায় এই সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট