চতুর্থ দফায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনেই সংক্রমনের হার কমবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা

সর্নিকা দত্ত

চতুর্থ দফায় লকডাউন হবে গোটা দেশজুড়ে। তবে লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে রাজ্য গুলির হাতে ক্ষমতা দেওয়া হবে।  সারাবছর দেশকে লকডাউনের মধ্যে রাখা সম্ভব নয়। তাই ক্রমেই কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি
আগামীতে লকডাউনের মধ্যেই যেখানে সম্ভব সেখানে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দিকে নজর দেবে ।

তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সড়কপথে এবং আকাশপথে গণপরিবহণ চালানাের ক্ষেত্র ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য যথেষ্টই ঝুঁকিরও বটে। কারণ বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে জুনের মাঝামাঝি আমাদের দেশে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ পিকে পৌঁছবে। এই সময় আমাদের যথেষ্ট সাবধানতা দরকার। চতুর্থ দফায় লকডাউন ঘোষণার আগে এই বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছিল।

যদিও বিশেষজ্ঞেরা এই মুহূর্তে বলছেন, আমাদের ধাপে ধাপে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অনন্তকাল লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একদিকে লকডাউন এবং অন্যদিকে ধীরে ধীরে গণপরিবহন দোকানপাট স্বাভাবিক করা দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য সামঞ্জস্য রাখতে হবে।

এই মুহূর্তে দেশে সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও বেশ কিছু সুখবর রয়েছে আমাদের জন্য। এই সংক্রমণ দেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এমন নয়। বরং তা সীমাবদ্ধ রয়েছে কয়েকটি কয়েকটি রাজ্য, কয়েকটি জেলা এবং কয়েকটি মিউনিসিপালিটি এলাকায়।

চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের গাইডলাইন ঘোষণা হবে কাল

চতুর্থ দফার লকডাউনে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হতে পারে এই এলাকাগুলিতেই। এই এলাকাগুলিতে লকডাউন জোরদার করে পরীক্ষা চিকিৎসা আরো জোরদার করা হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, তাতেই গোটা দেশজুড়ে চলা করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে গোটা দেশের যে ৩০ টি মিউনিসিপালিটি এলাকায় ব্যাপক হারে করোন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেখানেই সংক্রমণকে অ্যারেস্ট করতে হবে।এই মুহূর্তে ভারতের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে গ্রীন জোনে রূপান্তরিত হয়েছে। অতএব চিন্তার কারণ ঘনবসতিপূর্ণ মিউনিসিপাল এলাকাগুলিই।

বিশেষজ্ঞেরা আরও বলছেন, দেশের ৯০০০০ সংক্রমনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫০০০ দুটি রাজ্যের যথা গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র। ডাক্তারদের তরফে এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাকে সন্তোষজনক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কারণ বিগত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এখন এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে ১ মিলিয়নে ২৭ জনের মত পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পারফরম্যান্স খুব ভালো। এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখলে সংক্রমণ চার জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাকি জেলাগুলিতে নতুন কিসের হার লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে।

যখন লকডাউন শুরু হয়েছিল তখন একটা মানুষ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা ছিল ২.৫। এখন সেই সংখ্যাটা কমে হয়েছে ১.৩। ভাইরাসের বিরাট অংশে ট্রান্সমিশনের ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসকরা বলছেন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ট্রানসলেশন ১ এর নিচে যাতে নামে তার জন্য কৌশল নেওয়া।

এক্ষেত্রে যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি সেখানে আরও জোরদার লকডাউন করলে এই সংখ্যাটা একে নিচে নেমে আসবে। আর সে কারণেই বলা হচ্ছে এলাকাভিত্তিক লকডাউনে জোর দিতে।

সম্পর্কিত পোস্ট