চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের গাইডলাইন ঘোষণা হবে কাল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চতুর্থ দফার লকডাউন ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার বিকেল ছটা নাগাদ চতুর্থ দফার লকডাউনের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় আগামী ১৪ দিন লকডাউন এর সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। ফলে চতুর্থ দফার লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় গাইডলাইন না মেলায়, চতুর্থ দফার লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখে রাজ্য। নবান্নের তরফের জানিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রের গাইডলাইন না মেলায় এখনই লকডাউন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারছে না রাজ্য সরকার।তাই রাজ্যে এই মুহূর্তে যে ব্যবস্থা বলবত আছে সর্বত্র একই ব্যবস্থা চালু থাকবে।

বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফ থেকে ট্যুইট বার্তায় আরও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়,এখনও রাজ্যে সরকারের তরফে যেখানে যেভাবে যা যা নিয়ম কার্যকরী করা হয়েছে,পরবর্তী কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে পর্যন্ত তেমনটাই চলবে। এ বিষয়ে পরবর্তী পরিকল্পনার কথা আগামী কাল ( সোমবার) বিকেলে ঘোষণা করা হবে।

এর পরপরই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় চতুর্থ দফার লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এক্ষেত্রে কোথায় কিভাবে লকডাউন শিথিল বা বলবৎ হবে তা ঘোষণা করা হবে রাত নটায়, রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছিলেন, চতুর্থ দফায় লকডাউনের গাইডলাইন ১৮ মের আগে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোন পথে লকডাউন সে দিশা কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করতে পারেনি।

এদিকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কেন্দ্র লকডাউন নিয়ে কোন নির্দেশিকা ঘোষণা না করলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জন্য অপেক্ষা না করে ইতিমধ্যেই ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু।

পশ্চিমবঙ্গ কী করে, সেদিকে সকলেরই নজর ছিল। তবে নবান্নের তরফের জানিয়ে দেওয়া হয় লকডাউনের ভবিষ্যৎ কি হবে তার জন্য রাজ্যবাসীকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গোটা দেশে তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ৩ মে থেকে। তা রবিবার, ১৭ মে শেষ হয়। আজ থেকে আবার চতুর্থ দফার লকডাউন ঘোষণা করল কেন্দ্র। তবে মনে করা হচ্ছে, চতুর্থ দফার লকডাউনে রাজ্যের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দিতে পারে কেন্দ্র।

কারণ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তার দাবি মেনে কনটেনমেন্ট জোন নির্ধারণের দায়িত্ব রাজ্য গুলির উপর ছাড়া হতে পারে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে।

নয়া নির্দেশিকা কোনও সন্দেহ নেই আরো বেশি করে ছারের কথা ঘোষণা করা হবে। কারণ অনন্তকাল মানুষকে লক ডাউনের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বাদ দিলেও মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ধীরে ধীরে সবকিছুই স্বাভাবিকতার পথে এগোবে কেন্দ্র। আর এক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনার মাধ্যমেই গোটা বিষয়টি এগোতে পারে।

এদিকে এই মুহূর্তে দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিমধ্যেই ৯০ হাজারে পৌঁছে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই পেরিয়েছে আড়াই হাজার। পাঁচটি জেলা বাদে বাকি রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। তাই ফাইনালি লবণের চতুর্থ পর্যায় কিভাবে পালিত হয় সেদিকে তাকিয়ে আছে সকলেই।

সম্পর্কিত পোস্ট