প্রশ্ন প্রচুর, রাজ্যের সম্মেলনের মঞ্চে সব উত্তর কি দিতে পারবে সিপিএম?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে সিপিএমের ব্যাটন কার হাতে যাবে তা নিয়ে কৌতুহল তুঙ্গে। শুধু দলীয় কর্মীরা নয়, অন্যান্য দলের সমর্থকরাও এটা জানতে উদগ্রীব। সম্ভবত দলীয় সম্মেলন নিয়ে সিপিএমের পদ্ধতির কারণেই আগ্রহ এতো বেশি। মঙ্গলবার কলকাতায় এই বামপন্থী দলটির রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। তবে শুধু নির্বাচন নয়, দলের নীতি কী হবে তা নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ আছে নিচুতলার সিপিএম কর্মীদের মধ্যে।
২০১৯ এর লোকসভার পর ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় শূন্য হয়ে গিয়েছে সিপিএম। সংসদীয় গণতন্ত্রে তাদের এই বিপর্যয়ের প্রভাব দলীয় সংগঠনে বেশ ভালোমতোই পড়েছে। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে জনসমর্থন তলানিতে এসে ঠেকলেও সিপিএমের সংগঠন একেবারে ভেঙে পড়েনি।
বরং কিছুটা বিস্ময়করভাবে সর্বত্র অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে দলের হাল যে সবচেয়ে খারাপ সেটি মঙ্গলবার রাজ্য সম্মেলনের শুরুতেই পেশ করার সম্পাদকীয় রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
এবারের সম্মেলনে একসঙ্গে বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আগত প্রতিনিধিদের। প্রথম প্রশ্ন হল, নতুন রাজ্য সম্পাদক কে হবে? বয়সজনিত দলীয় বিধিনিষেধ মেনে রাজ্য সম্পাদকের পদ ছাড়তে হবে সূর্য মিশ্রকে। এদিকে মহীরূহ হয়ে দুর্দিনে দলকে আগলে রাখা বিমান বসুও কার্যত বানপ্রস্থে যেতে চলেছেন।
সরকারী খরচে এরাজ্যে পড়তে পারবেন ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা, স্বস্তি অভিভাবকদের
রবীন দেব, মৃদুল দে, অশোক ভট্টাচার্যের মতো রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের বিদায়ও নিশ্চিত। নতুন রাজ্য সম্পাদকের পাশাপাশি এই পরিচিত নেতাদের বিকল্পও খুঁজে নিতে হবে সিপিএমকে।
সেই সঙ্গে কোন নীতিতে দল আগামী নির্বাচনে লড়াই করবে তার উত্তরও খুঁজে বের করতে হবে এই সম্মেলনের মঞ্চেই। দলের নিচুতলায় আইএসএফের পাশাপাশি কংগ্রেসকে নিয়েও ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে। বেশিরভাগ জেলাতেই একলা চলার কথা বলা হচ্ছে।
রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনই পূর্ব বর্ধমান জেলার পক্ষ থেকে জোটের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এদিকে সুজন চক্রবর্তীর মতো সিপিএমের রাজ্য স্তরের প্রথম সারির মুখেরা এখনও জোটের পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট একটি পথ খোঁজা খুব একটা সহজ কাজ নয়।
পাশাপাশি সম্মেলনের মঞ্চ থেকে পাল্টা লড়াইয়ের কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের দেওয়া হবে কিনা সেটাও দেখার। সব মিলিয়ে ক্ষমতা থেকে বহু যোজন দূরে থাকলেও সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন নিয়ে আজও যথেষ্ট কৌতুহল দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।