সৌগত রায়ের বিবেকের ভূমিকা পছন্দ করছেনা দল, মদন কী সেটাই বুঝিয়ে দিলেন?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেকে শুধু একটা নাম নয়, ৯০ এর প্রজন্মের কাছে এক দুরন্ত আবেগও বটে। কৃষ্ণকুমার কুন্নথ বাঙালি না হয়েও, কলকাতায় না থেকেও তিনি লক্ষ লক্ষ বাঙালি তরুণের আবেগের সঙ্গে মিশে ছিলেন।
কিন্তু এই কলকাতাতেই শো করতে এসে তাঁর অসময়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি আজও অনেকে মেনে নিতে পারেনি। সেই ঘটনা ছানবিন করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ছাত্ররাজনীতির এক অন্ধকার দিক সামনে উঠে আসে।
কেকে-র মতো শিল্পীদের আনার বিপুল টাকা, তার আয়োজন কী করে সাধারন একটি কলেজের ছাত্রদের পক্ষে সম্ভব তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। তবে কী ছাত্র রাজনীতিই হল বেআইনি কমানোর রাস্তায় পা রাখার সোপান? সাধারণ মানুষের মনে যখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সেই সময় হঠাৎ বিবেকের ভূমিকায় দেখা গেল সৌগত রায়কে।
দমদমের তৃণমূল সাংসদ দু’দিন আগে বরানগরে তৃণমূল আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরে গিয়ে প্রকাশ্যেই এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বর্ষীয়ান সাংসদের কথা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি ছাত্র রাজনীতির এই রূপ পছন্দ করছেন না। কেকে-র মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উপর যে দায় চেপেছে তাকে যেন ঘুরিয়ে কিছুটা মান্যতাও দেন সৌগত।
স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই বিবেকের ভূমিকা পছন্দ হয়নি তৃণমূলের একটা বড় অংশের। রবিবার প্রকাশ্যেই সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাধানোয় মদন মিত্র ও সৌগত রায়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক কার্যত আদায়-কাঁচকলা। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে কামারহাটি। সেখানে সাংসদের প্রভাব থাকবে নাকি বিধায়ক হিসেবে মদন মিত্রের তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে টানাপড়েন চলছে।
ভোট বড় বালাই, জ্বলে-পুড়ে খাক হোক সব …..
সম্ভবত সেই কারণেই সুযোগ পেয়েই দলেরই সাংসদের সমালোচনা করে মদন মিত্র বলেন, “সৌগত রায়ের বয়স হয়েছে। ওনার কথা নিয়ে এতো জলঘোলা করা ঠিক নয়। বয়স হলে মানুষ অনেক ভুলভাল কথা বলে। সেই সব কথা ধরার কোনও প্রয়োজন নেই।” তবে এরপরই বিতর্ক বাড়িয়ে তিনি বলেন, “সৌগতদার কাছে একটাই অনুরোধ ২১ শে জুলাইয়ের আগে দলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না!”
তবে কী পরিকল্পনা করেই তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন সৌগত রায়? অন্তত তাঁর দলের বিধায়ক মদন মিত্রের অভিযোগ তাই।