মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমলনাথ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার আস্থা ভোটের মাধ্যমে স্থির হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইস্তফা দিলেন কমলনাথ।
শুরু থেকেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক অস্বস্তির জন্য গেরুয়া শিবিরের দিকেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কথাই উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তিনি বলেন, গোটা দেশ দেখছে কিভাবে ব্যাঙ্গালুরুতে বিধায়কদের আটক করে রাখা হয়েছে। জনগণ তাঁদের ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি মনে করছে আমার মধ্যপ্রদেশকে হারিয়ে নিজেরা জিতে যাবে , কিন্তু এটা কখনই সম্ভব নয়। আমি আজই স্থিত করেছি রাজ্যপালের কাছে আমার ইস্তফা জমা দেব।
চলতি মাসেই মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার সরকারের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা জমা দেন ২২ জন বিধায়ক। বিদ্রোহী ২২ জন বিধায়ক প্রাক্তন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ২২ জন বিধায়কের ইস্তফা জমা পড়ার পরেই মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ডামাডোল শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ শুক্রবার বিকেল ৫ টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে কমলনাথ সরকারকে
শুক্রবার লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে আস্থা ভোট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একেবারে জনসমক্ষে বিধায়করা হাত তুলে ভোট দেবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
স্পিকার এনপি প্রজাপতির উপস্থিতিতে সোমবার আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জেরে আস্থা ভোটের দিন পিছিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী কমনাথের সরকার। এরপর অবিলম্বে আস্থা ভোটের দাবীতে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল লালাজি টান্ডান। তড়িঘড়ি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সংবিধআন মেনেই কাজ করবে কমলনাথ সরকার।
মধ্যপ্রদেশে দ্রুত সরকার গঠনের দাবীতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। দ্রুত আস্থা ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে বলে দাবী জানায় শিবরাজ সিং চৌহান। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। আগামী দিনে মধ্যপ্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে বিজেপি সরকার আসতে চলেছে বলে দাবী করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে ফাঁসি হল নির্ভয়ার চার দোষীর
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে ব্যাঙ্গালুরুতে ১৯ জন বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে উপস্থিত হন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। ব্যাঙ্গালুরুতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি শিবকুমার। সেখান থেকে রামাদা হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। হোটেলের বাইরেই আমরণ অনশনের দাবী করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পড়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।