দেশজুড়ে চলবে মহাপঞ্চায়েত, আন্দোলনের নতুন স্ট্র্যাটেজি কৃষকদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৮৩ দিনের মাথায় চলেছে দিল্লির উপকন্ঠে কৃষকদের আন্দোলন। ১১ দফা বৈঠকের পরেও মেটেনি কৃষকদের সমস্যা। এই মুহুর্তে গাজিপুর এবং সিঙ্ঘু সীমান্তে কমতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকদের সংখ্যা। একমাস আগে যে ভিড় নজরে আসছিল এখন তা অর্ধেক। অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন নিজেদের গ্রামে।

তবে আন্দোলনে ভাটা পড়তে চলেছে? কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, শুরু থেকেই তাঁদের কাছে পরিষ্কার ছিল আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। দিল্লি উপকন্ঠে কৃষকদের ভিড় কমলেও আন্দোলনের নতুন পথ বেছে নিয়েছেন কৃষকরা। আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে নিজেদের গ্রামে আন্দোলন করবেন তাঁরা।

কৃষক আইনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে জনসমাবেশ করবেন তাঁরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়িত জানিয়েছেন, দেশজুড়ে কৃষক আইনের বিরুদ্ধে মহাপঞ্চায়েত করবেন তাঁরা। আগামী ১০ দিনে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থান সহ একাধিক জায়গায় মহাপঞ্চায়েত করবেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ কৃষকদের তিন ঘন্টার ‘চাক্কা জাম’ কর্মসূচীতে শামিল গোটা দেশ

গত দুই মাস ধরে একাধিকবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সরকারের সঙ্গে এখনও অবধি কোনও সমঝোতার রাস্তা তৈরি হয়নি। অন্যদিকে ১৮ মাসের জন্য কৃষি আইন রূপায়নে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন কৃষি আইনের সপক্ষে রয়েছেন তাঁরা।

কৃষক নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, যদি ১০ লক্ষের মতো মানুষ জমায়েত হয়, তবে কি সরকার আইন প্রত্যাহার করে নেবে? আমরা সারা দেশজুড়ে, জেলায় জেলায় আন্দোলন করব। শুধুমাত্র দিল্লি উপকন্ঠে নয়, দেশের মধ্যে প্রত্যেকটি বাড়িতে আন্দোলন পৌঁছে দিতে আমরা আন্দলনব চালিয়ে যাবো।

যদিও কৃষক নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র একটি খবর দিলেই গাজিপুর বর্ডারে ১ লক্ষ কৃষক জমায়েত হতে পারেন। পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক চলবে আন্দোলন। সেইসঙ্গে রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশেও চলবে আন্দোলন। এমনকি উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে চলবে আন্দোলন।

সম্পর্কিত পোস্ট