জনজাতিদের নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে ত্রিপুরার অঙ্ক জমিয়ে দিলেন ‘মহারাজা’

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২২ ফেব্রুয়ারি, ৮ মার্চ, ১২ মার্চ। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনটি বড় বড় জমায়েতের সাক্ষী থাকল আগরতলা। সেখানকার আস্তাবল ময়দান ভরিয়ে সমাবেশ করল তিন রাজনৈতিক দল। সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ২২ ফেব্রুয়ারি বিপুল জনসমাবেশ থেকে বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে লড়াই শুরু ডাক দেন মানিক সরকাররা।
সিপিএমের মতো রেজিমেন্টের দলের ডাকে আস্তাবল ময়দান ভরে যাবে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। ৮ মার্চ পাল্টা অমিত শাহকে এনে সমাবেশ করে বিজেপি। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ডাকে আস্তাবল ময়দান ভরে যাওয়াতেও বিশেষ অবাক হওয়ার কিছু নেই।
কিন্তু ১২ মার্চ ‘মহারাজা’ প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের ডাকে যেভাবে ভরে উঠল আস্তাবল ময়দান তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০২০ সালে কংগ্রেস ছাড়ার পর নিজের নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করেছেন মহারাজা প্রদ্যোত। তাঁর তিপ্রা মথার ডাকেই শনিবার কানায় কানায় ভরে ওঠে আস্তাবল ময়দান।
আস্তাবল ময়দান বহু কিনারা ছাপানো জনসমাবেশের সাক্ষী। কিন্তু শুধুমাত্র জনজাতিদের নিয়ে যে আস্তাবল ময়দান ভরিয়ে ফেলা যায় তা এর আগে কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু সেটাই করে দেখিয়ে সকলকে টেক্কা দিয়ে গেলেন প্রদ্যোত।
Tripura CPM : মানিকের বদলে জিতেন্দ্রকে মুখ করার দাবি জোরাল হচ্ছে ত্রিপুরা সিপিএমে
ওই সমাবেশ থেকেই হুঙ্কার ছেড়ে মহারাজা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে জোট করতে হলে ২০ টি আসন ছাড়তে হবে। না হলে আমি একাই ৩৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দেব। নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করে জনজাতি উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচনে যেভাবে সকলকে মাত দিয়েছেন রাজ পরিবারের এই সন্তান, তাতে তিনি যে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার ছাড়বেন তা একরকম স্বাভাবিক ঘটনা।
প্রদ্যোতের এই শক্তি প্রদর্শনের পর ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বহু রঙের খেলা একরকম নিশ্চিত হয়ে গেল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রদ্যোত কার হাত ধরবে? এমনিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট করলে তাঁর লাভ বেশি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও জাতিদের সকলের মধ্যে প্রদ্যোতের সমান সমর্থন নেই। দেববর্মাদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বেশি। আবার রিয়াংদের মধ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা তুলনায় বেশি। এই অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যোত যদি একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তবে ত্রিপুরার জনাদেশ কোন দিকে যাবে তা আগাম অনুমান করা দুরূহ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।