তিনিই সভাপতি হচ্ছেন বুঝে নজিরবিহীন পদক্ষেপ খাড়্গের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পদ আঁকড়ে থাকাটা কংগ্রেসে দীর্ঘদিনের রীতি। পারলে নেতারা একসঙ্গে দুটো-তিনটে পদে থাকেন। অশোক গেহলট পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তার ফলেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের যাবতীয় অঙ্ক শেষ মুহূর্তে এসে ঘেঁটে যায়। সেখানে ব্যতিক্রমী নজির গড়লেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ ছেড়ে দিলেন।
কর্নাটকের নেতা খাড়্গে সভাপতি নির্বাচনে গান্ধি পরিবারের প্রার্থী হিসেবেই উঠে এসেছেন। কংগ্রেসের সর্বস্তরেই বলা হচ্ছে, সোনিয়ার হাত মাথায় থাকায় তাঁর জয় নিশ্চিত। তবে এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি তাতে ৮ অক্টোবরের মধ্যে শশী থারুর সরে না দাঁড়ালে ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়ার জন্য ভোট হবে।
টেট সঙ্গে ১১,০০০ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘শাসনের’ মাঝেই নিয়োগ
তার আগেই প্রার্থী হওয়ার পরই দলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিকে মর্যাদা দিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়্গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির খাড়্গে যে শুধু দলের নীতি মেনে রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তা নয়।
কার্যত তিনি এর মাধ্যমে গেহলটদেরও বার্তা দিতে চেয়েছেন। সেইসঙ্গে এখন থেকেই দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি ক্ষমতালিপ্সু নন বোঝাতে চেয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যে কাজ করলে হতো তা আগেই করে ফেলায় খাড়্গের প্রসংশাও হচ্ছে।