শাহের সফরের আগে মতুয়াদের বার্তা দিতে রানাঘাটে মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য মতুয়া ভোট ভিষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শাসক দল তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও তাই এই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের পাশে পেতে উদগ্রীব।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন এবার রাজ্যে এসে মতুয়া ঠাকুরনগরে যাবেন তিনি। সেখানে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) লাগু করা নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন।
কিন্তু অমিত শাহের সফরের আগেই মতুয়াদের কাছে পৌঁছতে চান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বা বিজেপি নেতারা মতুয়াদের ভুল বোঝাতে না পারেন তাই প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে চান তিনি। সোমবার সেই লক্ষ্যে রানাঘাটে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তথ্য বলছে– মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় নানান এলাকায়। বিশেষ করে বনগাঁ– ঠাকুর নগর– হাবরা– রানাঘাট– কৃষ্ণনগর এলাকাতে এই নমশুদ্র ভোটারদের বিরাট একটা প্রভাব রয়েছে।
এই ভোটারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আগত– যাঁরা তাঁদের নাগরিত্ব নিয়ে শঙ্কিত। তৃণমূলের অভিযোগ তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। আজ– তারই জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশেষ করে তিনি তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকার মতুয়াদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কী কী কাজ করেছে তা তুলে ধরতে পারেন। কীভাবে তাঁর সরকার উদ্বাস্তু কলোনীগুলিকে রেগুলারাইজ করেছে তাঁদের জমির পাট্টা দিয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-red-army-demanded-the-release-of-a-chinese-soldier-who-had-entered-indian-territory/
এই অবস্থায় তিনি মতুয়াদের আশ্বস্ত করতে পারেন– নাগরিকত্ব নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তাঁর সরকার মতুয়াদের পাশেই আছে। বিজেপি নতুন করে নাগরিকত্বের যে ধুঁয়ো তুলছে তা আদতে রাজনীতিরই সামিল।
কিছুদিন আগে বনগাঁতেও সভা করেছেন মুখমন্ত্রী। সেখানেও একই বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন– আমরা সবাই নাগরিক। এমতাবস্থায় কাউকে ভীত হওয়ার দরকার নেই। এতদিন ধরে যাঁরা এই বঙ্গে বসবাস করছেন স্কুল কলেজে পড়াশুনা করছেন চাকরি করছেন।
তাঁদের নতুন করে কী নাগরিকত্ব দেবে চায় বিজেপি! কারণ তাঁরা তো ইতিমধ্যেই নাগরিক। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাখ্যা প্রতিবছর নির্বাচন এলে মানুষের কাছে এধরনের ধুঁয়ে তুলে বাজার গরম করার চেষ্টা করে বিজেপি। তবে এবার বিজেপির সেই চেষ্টা সফল হবে না।