“ভোটের সময় এলেই বলে বেড়ান গ্যাস দেব, ওটা সত্যি সত্যি গ্যাস”- বিজেপিকে বেনজির আক্রমণ মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাড়ি থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে নবান্ন গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোপণ্যের অগ্নিমূল্য নিয়ে অতীতেও সরব হয়েছেন তিনি। তবে এদিন তার প্রতিবাদ ছিল একেবারে অভিনব। গত ২৩ দিনে ১৫ বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য।
গ্যাসের দাম বেড়েছে এক মাসে তিনবার। এই অবস্থায়ইলেকট্রিক স্কুটার চেপে নবান্নে হাজির হলেন তিনি। স্লোগান বা মিটিং-মিছিল নয়, এ দিন প্রতিবাদের ভাষা ছিল নীরব। তাঁর সহ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে এই নয়া প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সাধারণ মানুষের মতো এভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করার ঘটনাকে এককথায় নজিরবিহীন হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। এর আগেও একাধিক বার বাইকের পিছনে সওয়ার হতে দেখা গিয়েছে মমতাকে।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় গ্রামে পুলিশ ঢোকা আটকাতে রাস্তা কেটে, রাস্তায় গাছ ফেলে গোটা এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন এলাকাবাসী।
ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে তলিয়ে যান চার শ্রমিক, হাসাপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তাদের
সেই সময় বাইকে করে নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলেন মমতা। এ ছাড়া জঙ্গলমহলে গিয়ে ছত্রধর মাহাতোর বাইকের পিছনে চড়েছেন মমতা। কিন্তু সেগুলি ছিল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ আগে থেকে পরিকল্পনা করেই নির্ধারণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রাফিক আইন মেনে, মাথায় হেলমেট পরে পুরো রাস্তা সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নের বাইরে দাঁড়িয়েই সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের সময় এলেই বলে বেড়ান গ্যাস দেব। ওটা সত্যি সত্যি গ্যাস। মানে গ্যাস বেলুনোর মতো। কিন্তু সেই রান্নার গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা ভাঁওতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আম জনতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার যে ভাবে নবান্নে গিয়েছেন, ফিরবেনও সেই ইলেকট্রিক স্কুটারেই, নবান্নে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, আগেও প্রতিবাদ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তিনি নিজে শামিল হয়েছেন প্রতিবাদে। শুক্রবার থেকে আরও জোরালো প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মী সমর্থকরা।