‘যশ’ মোকাবিলায় আজ রাতে নবান্নেই মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার স্থলভাগে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে, মঙ্গলবার রাত থেকে নবান্নে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন লাগোয়া উপান্ন থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ফুঁসতে শুরু করেছে সমুদ্র। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোখার পথ নেই, তবে মানুষের পাশে আছি। এদিন তিনি আশ্বাস দেন রাজ্যবাসীকে আগলে রাখবেন।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘যশ’ মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। কলকাতার কোন এলাকার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে, তা জানিয়েদেন তিনি। বলেন, ‘আমফান থেকে শিক্ষা নিয়েছি।এবার ৭৪ হাজার সরকারি অফিসার ও কর্মীদের সরাসরি দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে নামানো হচ্ছে। মোট ৩ লক্ষ মানুষকে নিয়ে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে নামানো হবে সেনা।’
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্যোগ আমাদের হাতে নেই। আটকাতেও পারব না প্রকৃতিকে। তবে আমি পাহারা দেব আপনাদের। পরিস্থিতি যাই হোক, ভরসা রাখুন। ২৫ ও ২৬ তারিখ আমি রাত জেগে পাহারা দেব। আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, মানুষকে রক্ষায় ব্লকে ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তাঁর কথায়, প্রায় ৪ হাজার ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগের জন্য ওয়ার রুম তৈরি করা হয়েছে। আগেও এই পরিষেবা ছিল। তবে এবার ব্লক স্তরেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
এক একজন আইএএস কর্তাদের এই কন্ট্রােলরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাজ করছে বলে জানালেন মমতা। জেলাশাসকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছে। প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁদের নিরাপদ এলাকায় রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমফানের সময়ও ১০ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। এবারও ওই ৯ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, উপকূলরক্ষাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিক পুলিশ, ডুবুরি, আশা কর্মী, নৌসেনা কার্যত সকলকে নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ‘যশ’-এর মোকাবিলায় লড়তে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।