তেজস্বীকে ফোন মমতার, বললেন পাশে আছি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পড়শির ঘরে কি হচ্ছে পড়শি খেয়াল রাখবে না? তা আবার হয় নাকি? আর পড়শি রাজ্য বলে কথা। সেখানেও এখন প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। তাহলে পড়শির মনোবল জগানোর তো প্রয়োজন রয়েছে। তাই দেরি না করে তেজস্বীকে ফোন করেই ফেললেন মমতা। তেজস্বীর লরাইয়ের প্রশংসা করে বললেন পাশে আছি। পাশাপাশি এনডিএর বিরুদ্ধে আনা তেজস্বীর ভোট চুরির অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এমনিতেই মহাজোটের সমস্ত নেতাদের সঙ্গেই বর্তমানে সখ্যতা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই তালিকায় রয়েছেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদবও। এমনকি মমতার ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তাই বিহারে নির্বাচনী লড়াইয়ে মহাজোটের হারের পরেও আরজেডিকে একক বৃহত্তম দল হিসাবে প্রমাণিত করার জন্য ৩২ বছরের যুব নেতার পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচনী প্রচারে তেজস্বীর প্রচারে যে ভিড় ছিল ভোটের অঙ্কে তা অনেকটা মিলে গেলেও, মহাজোটের অন্যতম শক্তিশালী দল কংগ্রেসের ব্যাপক হার ক্ষমতা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করেছে। ৭০ টি আসনে লড়াই করে ১৯ টি আসন পেয়েছে ভারতের সবচেয়ে পুরাতন দল। অন্যদিকে মাত্র ২৯ টি আসনে লড়াই করে ১৬ টি আসন পেয়ে নজর কেড়েছে বামেরা।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোররাতে ভোটের ফলপ্রকাশের পর এই পরথম জনসমক্ষে এলেন তেজস্বী। ফলাফল প্রসঙ্গে বলেন, বিহারের মানুষ মহাজোটকে সমর্থন করেছে। কিন্তু অনৈতিকভাবে নির্বাচন কমিশন এনডিএকে জিতিয়ে দিয়েছে। তেজস্বী দাবি করেন, তিনি এখনও আত্মবিশ্বাসী যে আগামী দিনে বিহার মহাজোটই সরকার গড়বে। সূত্রের খবর, তরুণ নেতার এই লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন মমতা। তাঁর লড়াইয়ে সর্বতভাবে পাশে থাকার বার্তাও দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কয়েকদিন আগেই বাংলার বিধানসভার রোডম্যাপ ঠিক করতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিহারের পর বাংলায় নজর দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিহার জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাতেও উঠে আসে বাংলার প্রসঙ্গ। আগামী দিনে বাংলাকে ঘিরে নির্বাচনী উত্তেজনা ক্রমশ যে বাড়বে তা বলা অবকাশ থাকে না।