বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী বেশি, কিন্তু ৭৫ বছরের বৈঠকে বলার সুযোগই পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হননি। কিন্তু ভারত থেকে ইংরেজদের তাড়ানোর লড়াইয়ে জাতি হিসেবে বাঙালির অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। কার্যত সবার আগে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে প্রবল পরাক্রমী ব্রিটিশ রাজের সঙ্গে রয়েছে সে।
বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর উপলক্ষে গড়া উদযাপন কমিটির বৈঠকে বলারই সুযোগ পেলেন না সেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী! তবে কি বাঙালিকে বঞ্চনা করার সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে?
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনকে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব নাম দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই উপলক্ষ্যে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে। শনিবার সেই কমিটির বৈঠক ছিল দিল্লিতে। এই মুহূর্তে দিল্লি সফরে থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে যোগও দেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু রাজ্যে
কিন্তু বিভিন্ন ছোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালরা বৈঠকে নিজেদের মত প্রকাশের সুযোগ পেলেও মমতাকে বলতে দেওয়া হয়নি! যদিও বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল লা গণেশনও শনিবার বৈঠকে বলার সুযোগ পান। তিনি অবশ্য মণিপুরের রাজ্যপাল, জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার পর বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন।
আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল। তারা একে বাংলা তথা বাঙালির অপমান হিসেবেই দেখছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, শনিবার কথা বলতে পারেননি মানে মমতা আর বলার সুযোগ পাবেন না তা নয়।
কমিটিতে প্রায় আড়াইশো সদস্য আছে। সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, পরে সেই সুযোগ এসে যেতেই পারে। তবে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বাংলা যে প্রাপ্য মর্যাদা পাচ্ছে না এই নিয়ে আলোচনা ক্রমশই বাড়ছে।