চাণক্যের দেখানো সুশাসনকে বাস্তবে রূপদান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকলি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসননীতিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এবার ইতিহাসের দুই চরিত্র ‘চাণক্য’ এবং ‘পাণিনি’-কে তুলে ধরল তৃণমূল। ওই দু’ই ঐতিহাসিক চরিত্রের বলে যাওয়া পথেই হেঁটে চলেছেন মমতা। বুধবার এমন ব্যাখ্যাই দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
গত ১০ বছরের শাসনকালে মমতা চাণক্য, পাণিনি বর্ণিত শাসননীতিকে অনুসরণ করে চলেছেন মত বারাসতের তৃণমূল সাংসদ।তিনি বলেন, চাণক্য বলেছিলেন ‘সুপ্রশাসক মানুষের সাথে কাজ করবে। এমনভাবে সরকার পরিচালনা করা উচিত যাতে রাজ্যবাসী অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাণক্যের সুশাসনের ব্যাখ্যাকে বাস্তবে রুপ দান করেছেন। ভারতের অর্থনীতি আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে। অথচ অতিমারীর সময়েও ৪৩ শতাংশের বেশী কর্মসংস্থানের সুযাগে তৈরি হয়েছে বাংলায়।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/co-vaccine-across-the-country-from-next-week-how-to-get-corona-vaccine/
জল ধরো জল ভরো প্রকল্প প্রান্তিক চাষিকে আজ কৃষিকাজে সাহায্য করেছে, এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আবার ওই জলে মাছ চাষ ও হয়েছে, মাল্টি সেক্টোরাল ডেভেলপমেন্ট। মাননীয়া দক্ষ ও সুপ্রসাশকের মতন কাজ করেছে।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, আজ এক অল্প বয়স্ক অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল ভারতকে পরিচালনা করছে, অর্থনীতি, আইনের শাসন আজ বিধ্বস্ত। কোথাও উন্নয়ন নেই, অধিকার দখলের নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে। খুন করে, দেশে আগুন লাগিয়ে দাঙ্গা করে, ধর্মীয় ভেদাভেদ করে যেভাবেই হোক ওরা নিজেদের অধিকার দখল করেছে।
মমতার শাসননীতি প্রসঙ্গে চাণক্যের পাশাপাশি ভাষাবিদ পাণিনির কথাও তুলেছেন কাকলি। তাঁর মতে, পাণিনি যে আঞ্চলিক, নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা ও উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই নীতিই অবলম্বন করেছেন। তাঁর চোখ এড়ায়নি সাঁওতালি ও রাজবংশীদের উন্নয়নের দাবিদাওয়াগুলিও।
কাকলির কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী ভাষায় পড়াশোনার জন্য কলেজ করেছেন। পাঠ্য বইতে অলচিকি লিপি নথিভুক্ত করেছে। মমতার দক্ষতা এবং সু-প্রশাসক হিসেবে তাঁর কর্মকাণ্ড বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে অপরিহার্য।’’
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/siliguri-cricket-lovers-welfare-organization-demands-international-standard-stadium-in-siliguri/
কেন্দ্রের শাসক দল প্রসঙ্গে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপিকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তৃণমূল একটি সুপ্রতিষ্ঠিত দল। উত্তর ২৪ পরগনার তিতুমীর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল। বিজেপি কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি। উপরন্তু ওদের নেতা মুচলেকা দিয়ে সেলুলার জেল থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।
এদিন কৃষক অন্দোলন নিয়েও বিজেপিকে দুষেছেন কাকলি, ইতিমধ্যেই ৪৫-৪৬ জন মারা গেছেন কৃষক আন্দোলনে, বিজেপির সরকার কৃষক বিরোধী কিন্তু তৃণমূল সরকার কৃষক দরদী, কৃষকদের স্বার্থে আমরা কাজ করি। মনে হয় যেন দলিত হওয়া পাপ। কোথাও জল নিতে গেলে, অটো চালাতে গেলে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বিজেপির শাসন কালে সংবিধান ধুলিস্যাত হয়ে যাচ্ছে।