“সামাজিক কর্মসূচিতে আমরা এক নম্বর, এখন আমার ডেস্টিনেশন শিল্প”- কর্মসংস্থানের ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর সুরে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  রাজ্যে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প শ্রেষ্ঠত্বের তকমাও পেয়ে গিয়েছে।তবে এসবের মাঝেও রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগের উদ্যোগ সেভাবে দেখা যায়নি। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার আক্রমন করেছেন বিরোধীরা।

এদিন পানাগড়ে বেসরকারি পলিফিল্ম কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এই শিল্প তালুকে পিভিসি পাইপ-এর একটি কারখানার নির্মাণকাজও ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে। প্রায় চারশো কোটি টাকার এই প্রকল্পে বেশ কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “এখন আমার ডেস্টিনেশন শিল্প। সামাজিক কর্মসূচিতে এখন আমরা এক নম্বর। এখন আমার নজর শিল্প-কারখানায় । দেউচায় বিশ্বের দ্বিতীয় সব থেকে বৃহত্তম কয়লা খাদান তৈরি করছি। তা থেকে সুবিধা পাবে পুরুলিয়া, হুগলি, বর্ধমান।‘তাজপুর পোর্টও হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি।”

তিনি বলেন, “শিল্পের কথা মাথায় রেখে একটি নতুন এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপ তৈরি করেছি। আমি নিজে এর চেয়ারম্যান থাকছি। এ ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন রাজ্যের মন্ত্রীও থাকবেন গ্রুপে। রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পের কী অবস্থা, কতটা অভাব রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে এই গ্রুপ।’

টিকা নিতে গিয়ে পদপিষ্ট , BDO ও BMOH কে শোকজ

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন,  “ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর করেছিলাম আমি রেলমন্ত্রী থাকা কালীন। ২ হাজার একর জমি চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ। পানাগড় বাদে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে, তাতে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে।”

“জঙ্গলমহল সুন্দরী প্রকল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে ৭২ হাজার কোটি টাকা। তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষ লক্ষ মানুষের।
ইথানলের মতো জৈব জ্বালানি তৈরি হবে বাংলায়। ভাঙা চাল দিয়ে তৈরি হবে জ্বালানি। ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ কাজ পাবেন। কৃষকদেরও সুবিধা হবে। দেড় হাজারের বেশি আইটি সংস্থা বাংলায় কাজ করে।” এমনই একের পর এক তথ্য পেশ করেন তিনি।

তাঁর কথায়, “এখন আমাদের লক্ষ্য ডেটা স্টোরেজ। নতুন ডেটা ইন্ডাস্ট্রি নীতিতে রাজ্যের নতুন লক্ষ্য তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং সংগ্রহের হাব হিসেবে বাংলাকে গড়ে তোলা। শুধু পূর্ব ভারত নয়, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের প্রয়োজন মেটাবে এটি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলায় ৪০০ মেগাওয়াটের ডেটা সেন্টার তৈরি হবে।”

মমতা জানান, “গত দশ বছরে এক লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে রাজ্যে। প্রস্তাবনা রয়েছে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের।  বানতলায় চামড়ার কারখানাগুলিতে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। অতিমারীতেও ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বাড়িয়েছি। এমএসএমই-তে মোট ১ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।”

lতিনি জানান, “১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে, লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হবে। যা যা সমস্যা আছে তার সমাধান করব। আমরা উৎকর্ষ বাংলা তৈরি করেছি। প্রায় ৬ লক্ষ ছেলেমেয়েকে স্কিল ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বাংলার ছেলে মেয়েদের খুব ভাল স্কিল। কারখানার চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থান করার পাশাপাশি শিল্পায়নে বিনিয়োগের পঞ্চপ্রদীপ জ্বালাতে পারব। যা যা সমস্যা আছে, সেগুলিকে সমস্যা সমাধানের জন্য হাই পাওয়ার কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ডোমজুড় হাওড়ায় এমএসএমই ইউনিট তৈরি হয়েছে। দেশে যখন কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হচ্ছে, সেখানে রাজ্যে ৪০% কর্মসংস্থান বেড়েছে।”

সম্পর্কিত পোস্ট