একসময় সিবিআইয়ে মুক্তি খুঁজেছিলেন, দিদি এখন সেই সিবিআইয়ে জেরবার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রথমেই পিছিয়ে যেতে হবে কমপক্ষে আড়াই দশক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ততদিনে রাজ্যের বিরোধী নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন সোমেন গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর লড়াই চললেও সিপিএম সরকারকে দিদিই যে আসল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। আর তখন থেকেই ছোট সেজ মেজ বা বড়, কোনও ঘটনা ঘটলেই সিবিআই চাই, সিবিআই চাই দাবি তুলে তোলপাড় করতেন মমতা।
এরমধ্যে অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর দাবি মেনে নিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। কয়েকটি ক্ষেত্রে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে মমতার সিবিআই তদন্তের দাবি মানা হয়নি।
তাঁকে কিনতে এসেছিলেন মন্ত্রীরা! বিস্ফোরক মন্তব্য আনিসের বাবার
তবে বাম জামানার শেষের দিকে সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের মৃত্যু, নেতাই কাণ্ড, নন্দীগ্রাম গণহত্যা সবেতেই তদন্ত করেছিল সিবিআই। সেই সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের মধ্যেই নিজের নৈতিক জয় খুঁজে পেয়েছিলেন মমতা।
কিন্তু ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সিবিআই নিয়ে নিজের অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ করেই তাঁর চক্ষুশূল হয়ে ওঠে সিবিআই। উল্টে বিরোধীরা কোনও ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও বেশ রেগে যেতে শুরু করেন। তবে বিধিবাম, আদালত নির্দেশ দিলে কিই বা করা যাবে! তাই সারদা, নারদ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের খাঁড়া ঝুলছে।
আদালতের নির্দেশে কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে মাঝেমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠছে সিবিআই সহ বাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে তৃতীয় তৃণমূল সরকার আসার পর এক বছরও হয়নি এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে বাংলায় যতগুলি সিবিআই তদন্ত হচ্ছে তা নজিরবিহীন। অতীতে কখনও এতো অল্প সময়ে এতো বেশিসংখ্যক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়নি আদালত!