‘যশ’ মোকাবিলার নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কোভিড বিধি মেনে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে থেকে গোটা প্রক্রিয়াটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘন্টায় ঘন্টায় সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক, জেলাশাসক এবং পুলিশসুপারদের সঙ্গে কথা বলছেন। এই নিয়ে জরুরি নির্দেশ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই উপান্নতে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। এনডিআরএফ টিম পৌঁছে গিয়েছে জেলায় জেলায়। বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। আপত্‍কালীন ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল- ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।

যশ মোকাবিলায় জেলায় জেলায় তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হচ্ছে না প্রস্তুতিতে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রশাসনিক স্তরে ঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মত্‍স্যজীবীদের। পাশাপাশি, সমুদ্রে থাকা মত্‍স্যজীবীদের আগামী কালের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

করোনা প্রাণ নিল প্রাক্তন নলহাটির বিধায়কের

প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা বন্দরও। ডক শেল্টারে জাহাজগুলিকে রাখার সময়ে প্রয়োজনে অতিরিক্ত চেন বা দড়ি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছোট জাহাজ বা বোটগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে বলা হয়েছে। ভেসেল ও ক্রেনের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও জাহাজই জেটিতে রাখা যাবে না।

কোভিড বিধি মেনে সেল্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। সম্ভাব্য বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত করে এলাকাবাসীকে প্রয়োজনে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে, দ্রুত তা সরানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জলের সরবরাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমফানের সময় বহু গাছ উপড়ে পড়েছিল। এবং তা সরাতেও সময় লেগে গিয়েছিল বহু দিন। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় বিভিন্ন জেলার জলবন্দি দশা ধরে পড়েছিল দীর্ঘদিনই। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে। আমফানের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য বিদ্যুত্‍ভবনেও বৈঠক হয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সমস্ত পুরসভাগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট