মোদিকে ‘সার্টিফিকেট’ দেওয়াটা ভুল চাল হয়ে গেল না তো মমতার!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার বিধানসভায় ইডি-সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরকারপক্ষের আনা প্রস্তাবের উপর আলোচনা চলছে। বলতে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে চাঁচাছোলা আক্রমণ করছিলেন বিজেপিকে। হঠাৎই বলে বসেন, “আমি বিশ্বাস করি না মোদি এসব করাচ্ছেন!” বাতাস, মুখ্যমন্ত্রীর এই একটা কথাই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন মোদিকে হঠাৎ ক্লিনচিট দিতে গেলেন? তার ব্যাখ্যাও সভায় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “সিবিআই এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে আছে। ইডি-সিবিআইকে দিয়ে বিজেপির নেতারা এসব কিছু করাচ্ছে। ঘটনা হল নাম না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর মূল নিশানা যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তা এদিনের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সিবিআই অতীতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে ছিল। পরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে আসে। যদিও খাতায়-কলমে সিবিআই একটি স্বশাসিত তদন্ত সংস্থা।
মমতার মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দলেরই সাংসদ! মদন কেন বাদ, প্রশ্ন প্রসূনের
সোমবার বকলমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গুড সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন মোদিকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা বিজেপির অভ্যন্তরের বিবাদ উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বিভাজন তত্ত্বকে হাতিয়ার করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তাঁর এই কৌশল বুমেরাং হয়ে যাবে না তো?
২১ এর বিধানসভা ভোটে কট্টর বিজেপি ও মোদি বিরোধী একটা বড় অংশের ভোট পায় তৃণমূল। ‘নো ভোট টু’-রাও এই দলে আছেন। এঁরা সকলেই মনে করছিলেন বিজেপিকে ঠেকাতে মন্দের ভালো তৃণমূলে আস্থা রাখাই একমাত্র উপায়।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নরেন্দ্র মোদিকে সার্টিফিকেট দেওয়ায় এই অংশ চটে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২৪ শে অতি গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির বিভাজন উস্কে দিতে গিয়ে বাম ঘেঁষা এই অংশের সমর্থন তৃণমূল হারাতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।