আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দিল্লিতে উপস্থিত ডেরেক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে কৃষক আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে ফোনে চার বার কথা বলেন তিনি।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ওরফে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।অবিলম্বে কৃষিবিল প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি কৃষকদের সঙ্গে থেকে তাদের পাশে থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কথা জানান।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই হুঁশিয়ারী দিয়ে জানিয়েছিলেন কৃষক বিরোধী আইন প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার। সেবিষয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিজেডি, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি এবং আকালি দলের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সদ্য পাশ হওয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। এর আঁচ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে দিল্লি। এই ইস্যুতে দেশের অন্নদাতাদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘কৃষক বিরোধী আইন’ প্রত্যাহারের দাবি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি এই ‘কালো আইন’ প্রত্যাহার না করলে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামবে তৃণমূল।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/fir-lodge-against-aiks-joint-secretary-hannan-mollah/
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন, ”কৃষকদের নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কৃষক বিরোধী বিলগুলো প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র সরকার। যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে অবিলম্বে আন্দোলনে নামব। প্রথম থেকেই আমরা এই কৃষক বিরোধী বিলগুলির বিরোধিতা করে আসছি”।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক ডাকা হয়েছে। অত্য়াবশকীয় পণ্য আইনে কী প্রভাব পড়েছে, কীভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ”সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা, বিএসএনএল, ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষা বিক্রি করতে পারেন না…আমাদের দেশের কোষাগারকে বিজেপির দলের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হতে দেব না”।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রে পাশ হওয়া কৃষক আইন নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলার দুই বিরোধী দল-বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এই ইস্যুতে এদিন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দেন দুই পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং আবদুল মান্নান। কেরালা, পাঞ্জাব, ছত্তিসগড় এবং রাজস্থান মতো কেন্দ্রের কৃষি আইনের পরিবর্তে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা সে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, কৃষক আন্দোলনের মাঝেই বাম নেতা এবং সর্বভারতীয় কিশান সভার যুগ্ম সম্পাদক তথা সিপি(আই)এম পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। দিল্লি পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।