নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা নিয়ন্ত্রণে ডিজি মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বাড়িতে ডেকে বৈঠক করলেন মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে কালিঘাটে নিজের বাড়িতে বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ইতিমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলা। এই অবস্থায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রশাসনকে সক্রিয় করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী তার বাসভবনে ডেকে নেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ডিজি নীরজ নয়ন এবং কলকাতার পুলিশ সুপার সৌমেন মিত্রকে।
45 মিনিট তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে যে জায়গায় হিংসার খবর এসেছে সেই থানাগুলোকে বাড়তি ফোর্স দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানিয়ে দিয়েছেন এই সরকার হিংসা কে সমর্থন করে না। তাই দল-রং না দেখে পুলিশ যেন ব্যবস্থা নেয়।
ভোটের ফলাফল বাইরে আসতেই রাজ্যজুড়ে হিংসার চিত্র ধরা পড়েছে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। যার জেরে ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন ছয় জন বিজেপি কর্মী। দু’জন বিজেপির মহিলা সমর্থককে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সর্বোপরি ভোটের পরে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের খুন হওয়ার কথা সামনে এসেছে।
তারকা প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তথাগত রায়
মূলত এরপরই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যপাল নিজেও এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এমনকি ঘটনাক্রম নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এই বৈঠকে তাই এই হিংসা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা নিয়েই আলোচনা চলছে। এছাড়াও রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে খবর বলে খবর।
বিপুল সংখ্যক জনসমর্থন পাওয়ার পর রবিবারই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, রাজ্যে অশান্তি নয়, শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। এদিন নিজের বাসভবনে রাজ্যের ভোটের পরবর্তী হিংসা নিয়ে জরুরি বৈঠকেও একই বার্তা দিয়েছেন মমতা।
এদিন রাজ্যে হিংসা না ছড়ানোর জন্য ট্যুইট করে আবেদন জানান মমতা। সেখানে তিনি লেখেন , ‘রাজ্যবাসীকে আমি আবেদন জানাব, শান্তি বজায় রাখুন। অশান্তি জড়িয়ে পড়বেন না। কোনও সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। ওঁরা ব্যবস্থা নেবে। পুলিশকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।’
এদিকে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, বুধবার শপথ গ্রহণের পর কাজে নেমে পড়তে চান তিনি। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমনের কারণে রাজ্যের পরিস্থিতি সংকটজনক। এ বিষয়ে দ্রুত কাজ শুরু করতে চায় তার সরকার।
ইতিমধ্যেই প্রত্যেক পুরসভাকে করোনা পরিস্থিতিতে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো এদিন বৈঠক করেছে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান শপথ গ্রহণের পর কভিড পরিস্থিতি নিয়ে জোরদার লড়াই শুরু করতে।