পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে এককালীন ১০০০০ দেওয়ার দাবি মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পরিযায়ী এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লকডাউন এবং কর্মহীনতার জেরে যে প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন শ্রমিকরা, তা নিরসনে কেন্দ্রকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করলেন তিনি। বুধবার পরিযায়ী শ্রমিকদের অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা করে ‘এককালীন সহায়তা’ দেওয়ার দাবি তুললেন তিনি। এদিন ট্যুইট বার্তায় গোটা দেশের শ্রমিক শ্রেণির জন্যই সরব হলেন তিনি।

ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘অতিমারির জেরে চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, পরিযায়ী ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য যেন মাথা পিছু এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পিএস কেয়ারসের একটি অংশও এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।’

লকডাউনের শুরুতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।রাজ্যের পরিয়ায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিো দেন তিনি। তাঁদের জন্য স্নেহের পরশ বলে একটি প্রকল্পও চালু করেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, রেলের মাধ্যমে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরতে তাঁদের যখন গ্যাটের পয়সা খরচ করতে হচ্ছিল, ঠিক তখন রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে তাঁদের ট্রেনের খরচ দেবে রাজ্য সরকারই।রাজ্যে ফিরলে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।

পর্যাপ্ত বাসের অভাব খোদ পরিবহন মন্ত্রীর জেলায়, চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীদের

তবে তাঁদের হাতে আলাদা করে একটা বড় অংকের টাকা তুলে দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রের সাহায্য চাইলেন তিনি।

পরিযায়ীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।

তিনি বলেছিলেন, দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে প্রত্যেক গরিব পরিবারকে কেন্দ্রের আগামী ৬ মাস ৭,৫০০ টাকা দেওয়া উচিত। পরিযায়ী শ্রমিকদের সরাসরি টাকা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলে নোবেলজয়া অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দাবি তুলেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও।

এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেই তাঁদের সমর্থনের সুর শোনা গেল।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ আবার মনে করছে মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের বর্ষপূর্তির দিন প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ।

তবে সেদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনও আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেননি। এদিন সরাসারি তারই দাবি তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট