নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণার দাবি মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করা হোক, বুধবার এই দাবি তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে যে রহস্য তার যথাযথ তদন্ত করারও দাবি তুলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই দুই দাবি নিয়ে এদিন চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই মর্মে নবান্ন থেকে চিঠি গিয়েছে দিল্লিতে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে বিস্তারিত আর্জি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাঠানো চিঠিতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির ভূমিকার কথা তুলে ধরে মমতা লিখেছেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ দেশজুড়ে নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালিত হবে।
নেতাজি শুধু বাংলার সুপুত্রই নন, তিনি জাতীয় নায়কও। তাঁর নেতৃত্বে ব্রিটিশ শাসন উপড়ে ফেলতে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়ে চরম বলিদান দিয়েছেন হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী।
প্রতিবছর দেশজুড়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি আমরা। বহুদিন ধরেই কেন্দ্র সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। তাই জাতীয় নায়ককে যোগ্য সম্মান দিতে ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক।
উল্লেখ্য, মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজির বিমান দুর্ঘটনা পর্ব পর্যন্ত বাঙালির কৌতুহলের শেষ নেই। ‘বোস ক্যান বি এ মেজর থ্রেট, ফাইন্ড হিম নাউ’। অর্থাত্ ‘বোস বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এখনই তাঁকে খুঁজে বের কর।’
ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগকে এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন তত্কারলীন ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ভিক্টর হোপ। ১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতার বাড়ি থেকে নেতাজির অন্তর্ধানের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সাহেবদের মধ্যে।
তারপর বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা থেকে মণিপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযান সবই ইতিহাস। নেতাজিকে নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/congress-inner-clash-p-chidambaram-said-about-failure-of-congress/
তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু-রহস্য নিয়ে তিন-তিন বার তদন্তও চালায় ব্রিটিশ সরকার। ভারতেও একাধিক কমিশন তদন্ত চালালেও অকাট্য প্রমাণ আজও মেলেনি।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর মমতা ও মোদি, উভয়েই বেশ কিছু নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ্যে এনেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি।
নেতাজির শেষ জীবন নিয়ে একাধিক মতামত রয়েছে। বলা যায়, বাঙালির জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্যের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য। সেই তদন্তের এবার পর্দা উঠুক, সেটাই মোদির কাছে আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহলের অপর অংশের মত, মুখ্যমন্ত্রী এমন সময়ে এই চিঠি লিখেছেন, যখন সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপকে পর্যবেক্ষকদের একাংশ রাজনীতির আতসকাচের তলায় ফেলে দেখতে চাইছেন।
কারণ, কয়েক মাসের মধ্যেই ভোট আসন্ন বাংলায়। এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলে ভোটবক্সে এর লাভ অবশ্যই হবে শাসল দলের।