জেলা সফরে মমতা, “কিছু দুষ্টু গরু বিজেপিতে চলে গেছে” দলত্যাগীদের নিশানা করে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে নামার আগে রথযাত্রা শুরু করেছে বিজেপি। পাল্টা জেলায় জেলায় কর্মসূচী শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় থেকে নেমে এসে মঙ্গলবার বহরমপুরে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর আক্রমণ শানালেন সেই বিজেপির দিকেই।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব। এদিন নাম না করে সেইসব নেতাদের কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, “কিছু দুষ্টু গরু বিজেপিতে চলে গিয়েছে। কি করবে? অনেক দুর্নীতি করেছে। এখন ভাবছে যদি গরু চুরিতে ধরা পড়ে যাই”।
তিনি আরও বলেন, যারা দুর্নীতি করেছিল, তাঁরা চলে গিয়েছে। রাজনীতি করে তিন ধরনের লোক। লোভী, ভোগী আর ত্যাগী। আমি লোভী নই, ভোগী নই। বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। যারা দুর্নীতি করে কালো হয়েছে তাঁদেরকে সাদা করে দিচ্ছে।
এদিন কর্মীদের উদ্দেশ্যে দীপ্ত কন্ঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যত দিন বাঁচব, মাথানত করব না। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো বাঁচব। আমি বলেছিলাম এনপিআর, এনআরসি করতে দেবো না। সেবিষয়ে বিধানসভায় আইন করেছি যাতে এনআরসি, এনপিআর না করতে পারে।
শোষণের রাজনীতি থেকে বঙ্গবাসীকে মুক্তি দিতে ২১-র পরিবর্তনের ডাক নাড্ডার
যদিও এবিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর পাল্টা জবাব দিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একদিন তৃণমূল খালি হয়ে যাবে। তৃণমূলের গোয়ালে আর কোনও গরু থাকবে না।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর খাসতালুক হিসাবে পরিচিত বহরমপুর। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দুর্গ ভেঙে সেখানে বেড়েছে তৃণমূলের দাপট। আগামী দিনে যাতে মুর্শিদাবাদের প্রত্যেকটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করে সেই বার্তাই দেন মমতা।
একইসঙ্গে বিহারের পর বাংলায় নজর দিয়েছে আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল মিম। তাঁদের বিশেষ নজর রয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ।
নাম না করে বহরমপুরের জনসভা থেকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দলকে নিয়ে এসেছে। ওঁদের ফাঁদে পা দেবেন না।