পরীক্ষিত মুখেই ভরসা রাখলেন মমতা, ভিন রাজ্যের অপরীক্ষিত নেতারা ঠাঁই পেল না কর্মসমিতিতে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের মাঝেই সকলের নজর ছিল কালীঘাটের দিকে। শনিবার বিকেলে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষে তৃণমূলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা করা হয়।
এই খবর পুরভোটের উত্তাপকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন ছড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরের যাবতীয় সাংগঠনিক পদ অবলুপ্তির বিষয়টি। ফলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তৃণমূলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তালিকা থেকে পরিষ্কার, যেমন কাজ তেমন ফল নীতি নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই মুহূর্তে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিই সবকিছু পরিচালনা করবে। তবে দলের নেতাকর্মীদের আপাতত নির্দিষ্ট পদ থাকবে না। কিছুদিন পর তৃণমূলনেত্রী নিজে এই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করে দায়িত্ব বন্টন করবেন। স্বাভাবিকভাবেই নতুন দায়িত্ব বন্টন না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটিও খালি পড়ে থাকবে। কিন্তু এই পদে যেহেতু এতদিন অভিষেক ছিলেন তাই গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
যদিও তৃণমূলের একটি প্রভাবশালী সূত্র জানাচ্ছে সাংগঠনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই অভিষেকের পদও এই মুহূর্তে বিলুপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নতুন পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করলে সেখানে অভিষেকের যথেষ্ট গুরুত্ব থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি তৃণমূলের নতুন সর্বভারতীয় কর্মসমিতির গঠনের ক্ষেত্রে বাংলার পরীক্ষিত নেতাদের উপরেই সবচেয়ে বেশি ভরষা রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী। কর্মসমিতির ২০ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জনই পশ্চিমবঙ্গের। ভিন রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ও উত্তরপ্রদেশের রাজেশ ত্রিপাঠি জায়গা পেয়েছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে যাবতীয় দলীয় দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা জাতীয় কর্মসমিতির জায়গা পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গোয়া, হরিয়ানার তৃণমূল নেতাদের কাউকে কাউকে জাতীয় কর্মসমিতিতে দেখা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল।
কিন্তু তারা কেউই তৃণমূলে এসে পরীক্ষিত না হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করেননি। এ ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট বার্তা যেমন কাজ করবে তেমন ফল পাবে। অর্থাৎ তৃণমূলে দাম পেতে গেলে ভিন রাজ্যের নেতাদের আগে নিজেদেরকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে।